রমজানে দাম না বাড়ালে পুরস্কার ঘোষণা বাণিজ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:৫৩ | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:১৮

রমজানে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীদের পুরস্কার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন,‘ব্যবসায়ীরা সবসময়ই আমাদের সহযোগিতা করে। এবারও করবে আশা করছি। রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্যের দাম না বাড়ে সেজন্য বিশেষ নজর রাখতে হবে। রমজানে পণ্যের দাম স্বাভাবিক থাকলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পুরস্কার দেয়া হবে।

রবিবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

রমজানে দ্রব্যমূল্য যেন না বাড়ে ব্যবসায়ীদের সেদিকে খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যপণ্যের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। চাহিদার চেয়েও আমাদের সরবরাহ অনেক বেশি। সুতরাং দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘রমজানে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ছোলা, ডাল ও চিনির। এগুলোর অনেক বেশি মজুদ আছে। গতবছরের চেয়ে এসব পণ্য আমদানি বেশি হয়েছে। গতবছর আমাদের খাদ্যশষ্য আমদানি ছিল ১০ লাখ ৭৬ হাজার মে.টন। আর এ বছর আমদানি হয়েছে ১৩ লাখ ৭৬ হাজার মে.টন। তিন লাখ মে. টন বেশি আমদানি হয়েছে।’

বৈঠকে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেশি নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। এরমধ্যে রয়েছে চিনিসহ আরও কিছু পণ্য। এ বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেশি হওয়ায় কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। ডলারের দাম যদি ৮০ এর কোটায় থাকে তাহলে আর দাম বাড়বে না।

এর পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডলার দাম খুব শিগগিরই ৮০ এর কোটায় চলে আসবে। আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছেন। ৮১ টাকায় নেমে এসেছে ডলারের দাম। আশা করছি খুব শিগগিরই ৮০ টাকার কোটায় নেমে আসবে।’

তবে মন্ত্রী ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার উদ্দেশ্য বলেন, ‘রমজানে যেন দ্রব্যমূল্যের দাম না বাড়ে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে দিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। এ বিষয়ে টিসিবিও ব্যবস্থা নেবে।’

মন্ত্রী বলেন, গত বছর তিন কোটি ৪৮ লাখ মে.টন চাল উৎপাদন হয়েছে। এবছর তিন কোটি ৫০ লাখ মে.টনেরও বেশি চাল উৎপাদন হয়েছেন। সুতরাং সরবরাহে কোনো সংকট নেই। আমরা চাল রপ্তানি করছি। গমের সরবরাহও যথেষ্ট।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ, রসুনসহ সব পণ্যের দাম স্বাভাবিক আছে। আপনারা খেয়াল রাখবেন যাতে দাম না বাড়ে।’

খুচরা ও পাইকারি মূল্যের দামের খুব তারতম্য থাকে। এটি নির্ধারিত করে দেয়া যায় কি না তা নিয়ে বৈঠকে দাবি জানানো হয়। মন্ত্রী বলেন, ‘এটা সম্ভব না। তবে বর্তমানে বাজার পরিস্থিতিতে কোনো সমস্যা নেই। সবকিছুই স্বাভাবিক রয়েছে।’

ব্যবসায়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাজার পরিস্থিতি নিয়ে যেন পেনিক সৃষ্টি করা না হয়। কারণ পেনিকের কারণে অনেকই সুযোগ নেয়। দাম বাড়িয়ে তোলে। যাতে পেনিক সৃষ্ট করা না হয় সেদিকে সবার দৃষ্টি দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

টিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সারা দেশে দুই হাজর আটশ ১১টি ডিলার থাকবে। ১৮৫টি কার্ড থাকবে। খাদ্যদ্রব্য সরবাহে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। সব ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্ত্রীকে তারা জানান।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পণ্যের ট্রাক আটক নয়

মহাসড়কে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক আটকানো হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশের ডিআইজি হুমায়ূন কবির। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক আটকানো হবে না। হাইওয়েতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করছি চাঁদাবাজি বন্ধ হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এমএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :