তথ্যপ্রযুক্তির বাজার উন্নয়নে বেসিসের কর্মশালা

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ১৫:১২

আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবার প্রসারে দিনব্যাপী একটি কর্মশালা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। শনিবার গাজীপুরের ব্র্যাক সিডিএমে আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি)-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এই কর্মশালায় সফটওয়্যার ও আইটি সেবা রপ্তানিকারক ৪০টি কোম্পানির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বেসিসের আন্তর্জাতিক বাজার বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান টিআইএম নুরুল কবীরের সঞ্চালনায় কর্মশালার শুরুতে এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, ফারহানা এ রহমান ও আইবিপিসির নির্বাহী কর্মকর্তা মীর শরিফুল বাশার।

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, পরিচালক উত্তম কুমার পাল, বেসিসের সাবেক সভাপতি এস এম কামাল, এ তৌহিদ, রফিকুল ইসলাম রাউলি প্রমুখ।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবস্থা, প্রতিবন্ধকতা, এই খাতের উন্নয়নে করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জাপান, গ্লোবাল আউটসোর্সিং, ইউরোপ ও আফ্রিকা এবং উত্তর আমেরিকা নিয়ে নিজস্ব কেইস স্টাডি উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বেসিসের সাবেক সভাপতি ও ডেটাসফট সিস্টেমস (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বেসিসের সাবেক সভাপতি মাহবুব জামান, রিভ সিস্টেমস লিমিটেডের গ্রুপ সিইও রেজাউল হাসান, দ্য ডেটাবিজ সফটওয়্যার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদ কামাল ও গ্রাফিক পিপল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইলাহী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক বাজার প্রসার করতে চাচ্ছি, অথচ আমাদের নিজেদের পণ্য বা সেবার কপিরাইট বা মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ নিয়ে ভাবছি না। নিজের পণ্য বা সেবা রক্ষা করা আগে প্রয়োজন। অনেকেই বাজার বিশ্লেষণ না করে অন্যদের দেখাদেখি একই ধরণের পণ্য বা সেবা নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এটাও ঠিক না। একটি বাজারে প্রবেশের আগে অবশ্যই যথাযোগ্য পণ্য বা সেবা নির্বাচন করা, বাজার যাচাই, ক্রেতার ধরণ ও দীর্ঘস্থায়ীত্ব, বিনিয়োগের পরিমাণ, সঠিক ব্যবসায়িক অংশীদার খুঁজে বের করাসহ নানাবিধ অনুশীলন করে নিতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, আমরা ভালো পণ্য বা সেবা তৈরি করতেই ব্যস্ত থাকি। ডেভেলপমেন্টেই অধিকাংশ বাজেট খরচ করে থাকি। যত ভালো পণ্য বা সেবা তৈরি করাই হোক না কেনো, তার বিপণন বা প্রচার না হলে ক্রেতা আসবে না। তাই ডেভেলপমেন্টের তুলনায় বিপণনে অন্তত তিনগুণ বেশি খরচ করা উচিত। একইসাথে কোম্পানিকে বড় করার ইচ্ছা থাকলে সবচেয়ে বড় চিন্তা করা উচিত। সেই চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দিতে মনোবল ও পদক্ষেপ নিতে হবে।

সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তা বাস্তবায়নে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলোকে প্রণোদনা দেওয়াসহ নানাবিধ সহায়তা করা, টেকনোলজি ট্রান্সফরমেশন ও আপডেটেড থাকা, আবাসিক এলাকার আইটি কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের সুবিধা, প্রয়োজন অনুযায়ী সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক গড়ে তোলা, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলা, ইন্টারনেটের দাম কমানো, বাজার গবেষণাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। কর্মশালায় আলোচিত এবং সুপারিশকৃত বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে একটি কর্মপরিকল্পনার খসড়াও প্রণয়ন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :