আমিনবাজারে ছয় ছাত্র হত্যায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল
রাজধানীর অদূরে আমিন বাজারে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ২১ মে ধার্য করেছে আদালত।
রবিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম এ তারিখ ধার্য করেন।
এদিন মামলাটিতে আসামির স্বীকারোক্তি রেকর্ডকারী ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামকে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এ সাক্ষী এদিন আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এ সাক্ষী বর্তমানে ব্রাক্ষণবাড়িয়ার যুগ্ম-জেলা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বছর ১৬ নভেম্বর এ সাক্ষী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।
মামলাটিতে এর আগে চার্জশিটের ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষে ৪৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রাম সংলগ্ন কেবলার চরে ডাকাত সন্দেহে পিটিয়ে হত্যা করা হয় মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের তিন শিক্ষার্থীসহ ছয় কলেজছাত্রকে। নিহতদের সঙ্গে থাকা তাদের বন্ধু আল-আমিন গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান। ওই সম্পর্কেই সোমবার তিনি আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলাটিতে গত ২০১৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর একই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন।
২০১৩ সালের ১৩ জানুয়ারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক শরিফউদ্দিন আহমেদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিদের মধ্যে ৩০ জন জামিনে এবং পাঁচজন কারাগারে এবং অপর ২৫ জন আসামি পলাতক রয়েছেন।
আসামিরা হলেন, ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হয়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল ও আলম।
নিহতরা হলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ম্যাপল লিফের 'এ' লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শামাম (১৮), মিরপুর বাঙ্লা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ (২০), একই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২১) ও উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত (১৬), তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান (১৯) ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবির মুনিব (২০)। তারা পরস্পরের বন্ধু ছিলেন বলে জানা যায়। নিহতদের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু আল-আমিন গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রাণে বেঁচে যান।
তারা শবে বরাতে নামাজ পড়ে বেড়ানোর উদ্দেশ্যে বের হন বলে স্বজন ও বন্ধুদের দাবি।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/আরজেড/জেবি)