আগামী নির্বাচন হবে কঠিন: নাসিম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘২০১৯ সালের নির্বাচন হবে কঠিন নির্বাচন। শুধু উন্নয়ন দিয়ে নয়, ব্যবহার দিয়ে, আচরণ দিয়ে, মানুষের ভালোবাসা দিয়ে ভোটে জিততে হবে আমাদের। কারণ আওয়ামী লীগ হলো জনগণের দল, অনেক রক্ত ও ত্যাগ তিতিক্ষা দিয়ে আমরা সংগঠন করেছি। শেখ হাসিনা বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমাদের বিজয়ী করেছেন। তাই আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় রয়েছে।’
রবিবার দুপুরে গাজীপুরের টঙ্গীতে নবনির্মিত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার অধীনেই ২০১৯ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর জনগণ যাকে ভোট দেবে সেই নির্বাচিত হবে।’
সাম্প্রতিক জঙ্গিবাদ নিয়ে নাসিম বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলাম। সেখানে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সব ধর্মের লোক রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি নাই। যার যার ধর্ম সে পালন করছে। কারণ সেখানে উন্নয়ন হচ্ছে। আর আমরা এখানে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করি, অসহিষ্ণু হয়ে যাই। না হলে কিভাবে বলেন একজন মুসলমানের সন্তান জঙ্গি হয়ে যায়?’
নাসিম বলেন, ‘শিক্ষিত ছেলে যার খাওয়া পড়ার অভাব নাই, সে জঙ্গি হয়ে গেল। তারা নাকি বেহেশতে যাবে। শুধু আল্লাহ ঠিক করবে কে জান্নাতে বা জাহান্নামে যাবে। আজকে পিতা মাতা সন্তানের লাশ নেয় না শুধু সন্তান জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ার কারণে। শেখ হাসিনা মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে জঙ্গিবাদ দমন করেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, কিভাবে জঙ্গি দমন করতে হয় তা শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখতে হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষকে শেখ হাসিনা সবকিছু দিয়েছেন। এখন শেখ হাসিনাকে দেয়ার পালা। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে গাজীপুরের প্রতিটি সিটে যেন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে, নৌকা যেন বিজয়ী হয়।’
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘আমরা জানি গাজীপুরের আওয়ামী লীগ সুশৃঙ্খল রয়েছে। তাই মনে রাখবেন, গাজীপুরে যদি আওয়ামী লীগ না বিজয়ী হয়, বাংলাদেশের কোথাও আওয়ামী লীগ জিতবে না।’
এর আগে হাসপাতাল উদ্বোধনের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘আমি জানি টঙ্গীবাসীর প্রাণের দাবি এই হাসপাতালটি যেন সাবেক এমপি শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে নামকরণ করা হয়। আমি নিজেও তা চাই। তাই আজকে এ মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলে যাচ্ছি, টঙ্গীর ২৫০ শয্যা হাসপাতালটি অবশ্যই শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের নামে নামকরণ করা হবে। শুধু তাই নয়, এই হাসপাতালটিকে অত্যাধুনিক মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করা হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণায়ের সচিব মো. সিরাজুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এস এম আলম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমত উল্লা খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান খান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, গাজীপুর জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. সৈয়দ মো. মনজুরুল হক প্রমূখ।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/আইআর/জেবি)