মাদকের মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন
মাদক উদ্ধারের পৃথক দুইটি মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিচারক মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন, সাতক্ষীরা জেলার ইটাগাছা গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আশিকুজ্জামান ওরফে ফারুক (২৫), একই জেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ইমান আলী মোড়লের ছেলে ইয়াকুব আলী (৩০), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার চাচড়া রায় পাড়া গ্রামের কাজী আব্দুল হাইয়ের ছেলে কাজী মোস্তাফিজুর রহমান (৩৮), একই জেলার ওই থানার বাহাদুরপুর স্কুল পাড়ার মঞ্জু গাজীর ছেলে জহির গাজী (২৬) এবং ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার লেগু বুনিয়া উত্তরপাড় গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে সুজন ওরফে সুজন হাওলাদার। দণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামি জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।
রায়ে চারশ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারে দণ্ডিত প্রথম তিনজনের যাবজ্জীবন দণ্ডের সঙ্গে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে তাদের আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে দণ্ডিত অপর দুইজনকে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
চারশ বোতল ফেনসিডিল মামলায় ২০০৯ সালের ৬ জুলাই রাতে শাহ আলী থানা এলাকার দিয়াবাড়িতে একটি ট্রাকে ৪০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় ডিবির এসআই শাহিদ মাহমুদ পরদিন বাদী হয়ে শাহ আলী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ৪ আগস্ট ডিবির এসআই আলমগীর ভূঁইয়া আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১৫ সাক্ষীর মধ্যে আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
অপর মামলায় ২০১১ সালের ২৩ জুলাই র্যাব-১০ বংশাল থানা এলাকার নর্থ সাউথ রোডের হোটেল আল রাজ্জাকের সামনে একটি মাইক্রোবাসে চল্লাশি চালিয়ে ৭৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। পরদিন বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে বংশাল থানার এসআই রফিকুল আলম ওই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় নয় আদালত সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/আরজেড/জেবি)