রাজশাহীতে কালবৈশাখীর হানা, জনদুর্ভোগ

রাজশাহী ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল ২০১৭, ২২:৩৯

রাজশাহীতে তুমুল বৃষ্টির সম্ভাবনা আগে থেকেই জানিয়েছিল স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তিন দিন। দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টির দেখা মিলেছিল খুবই সামান্য। কিন্তু শেষ দিন রবিবার আকস্মিকভাবেই শুরু হলো কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ের সঙ্গে রেকর্ড হলো মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি।

রাজশাহী অঞ্চলে মৌসুমের প্রথম এই কালবৈশাখীর হানায় অসংখ্য ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা সাতটা ৫ মিনিট থেকে সাতটা ১০ মিনিট পর্যন্ত কালবৈশাখী বয়ে গেছে। ওই পাঁচ মিনিট বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। কালবৈশাখী এসেছিল দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে।

এদিকে হাঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হওয়ার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বৃষ্টি চলছিলই। এ সময় ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এটিই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত রাজশাহীর কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেননি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

এদিকে বৃষ্টিতে রাজশাহী মহানগরীর বেশকিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, রেলগেট, গণকপাড়া, কাদিরগঞ্জে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। ফলে দেখা দেয় যানবাহনের সংকট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মানুষ। নর্দমা থেকে তুলে রাখা কাঁদাগুলোও বৃষ্টির পানিতে ছড়িয়ে পড়েছে সড়কে। রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের ওপর বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া তানোরের কালিগঞ্জ, পুঠিয়া ও রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী এবং সিটি বাইপাস এলাকায় গাছ পড়ে সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গাছগুলো অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ফায়ার সার্ভিসের সদর ও বিভিন্ন উপজেলার ইউনিটগুলো। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের কারণে আহত হয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি হননি। তবে নগরীর শ্যামপুর এলাকার আসিয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যিনি ঝড়ের সময় ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন।

রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে কলা ও পেপে বাগানেরও। ঝড়ে পড়ে গেছে ভুট্টা গাছ ও সবজির মাচা। তবে সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতো তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

(ঢাকাটাইমস/৩০এপ্রিল/প্রতিনিধি/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :