রাজশাহীতে কালবৈশাখীতে কৃষকের মৃত্যু
রাজশাহী অঞ্চলে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীর হানায় আলম মুন্সি (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আলম জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার কলাবাগান গ্রামের আতাউর মুন্সির ছেলে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিপজুর আলম মুন্সি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সন্ধ্যায় কালবৈশাখী শুরু হলে আলম বাড়ির বাইরে রাখা গরু তুলতে বের হয়েছিলেন। এ সময় একটি গাছ ভেঙে পড়ে আলমের ওপর এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরীর মতিহার থানার শ্যামপুর এলাকার আসিয়া বেগম (৩৫) নামে এক নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যিনি ঝড়ের সময় ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। আসিয়ার স্বামীর নাম গিয়াস উদ্দিন। হাসপাতালে ভর্তির পর আসিয়ার জ্ঞান ফিরেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট থেকে ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত রাজশাহীর ওপর দিয়ে কালবৈশাখীর আসল ঝাপটা বাতাস বয়ে গেছে। ওই পাঁচ মিনিট বাতাসের গতিবেগ ছিল ৯০ থেকে ৯৫ কিলোমিটার। কালবৈশাখী এসেছিল দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ থেকে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, হাঠাৎ কালবৈশাখী শুরু হওয়ার এক মিনিট পরই শুরু হয় বৃষ্টি। সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এটিই মৌসুমের সর্বোচ্চ বৃষ্টি। ঝড় ও বৃষ্টির কারণে রাতে রাজশাহীর কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ সরবরাহ কখন স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেননি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।
রাজশাহী সদর ফায়ার স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, কালবৈশাখীতে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের ওপর বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। গাছগুলো অপসারণ করে যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদর ও বিভিন্ন উপজেলার ইউনিটগুলো।
কালবৈশাখীতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে কলা ও পেপে বাগানেরও। ঝড়ে পড়ে গেছে ভুট্টা গাছ ও সবজির মাচা। তবে সবমিলিয়ে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ কতো তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/৩০ এপ্রিল/ব্যুরো প্রধান/ইএস