শেখ হাসিনাতেই আস্থা, কিন্তু বাকিরা করছে কী?

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ০১ মে ২০১৭, ১৪:৫৭

আওয়ামী লীগ এর সমর্থক, কিন্তু অনেক সামাজিক, অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ইস্যুতে সরকারের মন্ত্রী-এমপির সমালোচনায় মুখর হন, এমন মানুষের সংখ্যা সমাজে কম নয়। এরা দলের বা সরকারের নানা কাজের সমালোচনা করলেও শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখছেন দীর্ঘদিন ধরে। এমনও বলতে শোনা যায় যে, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কাউকে বিশ্বাস করেন না তারা। শেখ হাসিনার দল করেন না এমন মানুষও আস্থা রাখতে শুরু করেছেন তাঁর উপর; জাতীয় নেতা হিসেবে এই বাঙালি নারীর জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়ছে।

ব্যক্তি শেখ হাসিনা মানুষের এই অনুধাবন, আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। সব দল মিলে অন্য রাজনীতিবিদরা এই কাজটি করতে পারেননি। কিন্তু আর কতদিন এভাবে একা এত চাপ সামলে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি? তিনি সারাজীবন থাকবেন না। বাকি মন্ত্রী, এমপিদের ভেতরে উনার মত সক্রিয়তা আসবে কবে? একই দল, একই মন্ত্রীপরিষদ, একই রাষ্ট্র। তাহলে বাকিদের ভেতরে দেশপ্রেম, সততা আর তড়িৎ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সামর্থ্য নাই কেন?

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই কি উনার সামর্থ্য বেশি? আমার মনে হয় না। তিনি যখন বিরোধীদলে ছিলেন তখনও বন্যাকবলিত মানুষের পাশে সবার আগে গিয়ে হাজির হয়েছেন। দলের মাধ্যমে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে ক্ষমতাসীনদের বিব্রত করেছেন। তিন বছর প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়াটিমে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, শেখ হাসিনা নির্লোভ ও মানবতাবাদী। এত বড় দলের প্রধান তিনি, টানা আট বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ছিলেন পাঁচ বছর। কিন্তু খাদ্যাভ্যাসে, কাপড়চোপড়ে কত সহজ, সাধারণ, সুন্দর। অনেক নেতার ভোগ-বিলাস আর যেনতেন ভাবে অর্থকড়ি কামাই করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখলে দলের প্রধানের সাথে এদের মধ্যে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না।

বড় বড় দার্শনিক, অধ্যাপকরা যেখানে ‘প্রগতি’ আর ‘ধর্মে’র মধ্যে তাল মেলাতে পারেন না, সেখানে শেখ হাসিনা স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত, বিএনপির কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী আর কিছু অপরিণামদর্শী প্রগতিশীল ছাড়া বাদবাকি বাংলাদেশির আস্থা অর্জন করতে পেরেছেন বলে আমার ধারণা। দেশের শীর্ষ কয়েকটি পত্র-পত্রিকা সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কৌশলে মানুষের মনকে বিষিয়ে তুলছে। যেমন কিছু পত্রিকা স্বাধীনতার পরপর কৌশলী সাংবাদিকতা করে বঙ্গবন্ধু সরকার সম্পর্কে মানুষের মনকে বিষিয়ে তুলেছিলেন। কিন্তু এখন যুগ পাল্টে গেছে। দুয়েকটি পত্রিকার মনোপলি ভেঙে দিয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কনসেপ্ট।

প্রতিটি ব্যক্তিই এখন গণমাধ্যম হয়ে উঠছেন যেন। ফেসবুক, ইউটিউবসহ নানা মাধ্যমকে মানুষ বেছে নিয়েছে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে। দুয়েকটি মিডিয়ার আধিপত্য খর্ব করে দিয়েছে অনেকগুলো অনলাইন নিউজপেপার। সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা কোন কিছুই আর গোপন থাকছে না। মানুষ নিজেই ভাল-মন্দের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। ফলে সরকার শুধুই ব্যর্থ কিংবা সরকার শুধুই সফল এমন অযৌক্তিক মূল্যায়ন মানুষ করছে না। প্লাস-মাইনাস করে মানুষ একটা সঠিক মূল্যায়ন করতে পারছে। ফলে সরকারের সাফল্যসমূহ মানুষ দেখতে পাচ্ছে, মেহসুস করতে পারছে। ব্যর্থতার বার্তাগুলো একতরফাভাবে মানুষকে নৈরাশ্যবাদী করছে না।

মানুষ দেখছে, বড় বড় বিপদে শেখ হাসিনাই সর্বশেষ আশ্রয় হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন। মন্ত্রীরা নিজেদের দায়িত্ব ঠিকঠাক পালন করছেন না, বলে দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী সব তদারকি করছেন। মন্ত্রী মানে একটা মন্ত্রণালয়ের প্রধান ব্যক্তি। মন্ত্রীরা যদি সব কাজ প্রধানমন্ত্রীর জন্য ফেলে রাখেন তাহলে উনি উনার নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো কখন করবেন? উনাকে সবগুলো মন্ত্রণালয় যেমন দেখতে করতে হয়, আবার উনার নিজেরও মন্ত্রণালয় আছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি তো আছেই। সবাই মিলে এত চাপ উনাকে কেন দিচ্ছে?

সর্বশেষ ঘটনায় হাওর অঞ্চলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হল বানের পানির সাথে সাথে দুশ্চিন্তার পানিও কমে গেল! একান্তই ব্যক্তিগত অনুভূতি। সাধারণীকরণ বা সরলীকরণ আমি করব না। ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যদিও আমার মত অনেকেই হাওর অঞ্চলের মানুষগুলোর জন্য কিছুই করেনি কিন্তু গরিব মানুষগুলোর জন্য দুশ্চিন্তা হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যাই সমাজে বেশি।

প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগকবলিত মানুষের কাছে গেলেন, ঘুরে ঘুরে হাওর এলাকা পরিদর্শন করলেন। অনেকগুলো আকাঙ্ক্ষিত ঘোষণা দিলেন। শেখ হাসিনা পানির দেশে যাওয়াতে দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ যে খুশি হয়েছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নতুন করে আশায় বুক বেঁধেছেন হাওর অঞ্চলের জলে ভাসা মানুষগুলো।

ভারত থেকে আসা বানের পানি থেকে সৃষ্ট এই আকস্মিক বন্যায় একমাত্র ফসল বোরো ধান হারিয়ে, পানির নিচের মাছ হারিয়ে সুনামগঞ্জ-নেত্রকোণাসহ আশপাশের হাওর অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। মূলধারার মিডিয়ায় হাওরে আগাম বন্যার খবর প্রথমদিকে খুব বেশি প্রচার পায়নি। কিন্তু ফেসবুকে সক্রিয় ছিলেন তরুণ সমাজ। ফেসবুকের চাপে পড়ে মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও বেশ প্রচার পেতে শুরু করে।

প্রথমদিকে সরকারের কয়েকজন সচিব এবং মন্ত্রী হাওর অঞ্চলকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে চাননি। একজন সচিব বলেছিলেন, গরু-ছাগল মারা গেলে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা যায় না। যেন মানুষের মৃত্যুর অপেক্ষায় ছিলেন সেই সচিব! এরকম মানুষ-মারা সচিব দেশে আছে বলেই ৩০ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশে আজও সমাজের বড় একটা অংশ হতদরিদ্র।

পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বিপর্যয়ের ২৬ দিন পর হাওর অঞ্চলে গিয়েছিলেন। সম্ভবত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাবেন শুনে পানিসম্পদ মন্ত্রী তাড়াহুড়া করে হাওর এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রকৃতির উপর সব দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেদের দায়মুক্ত করতে চাইলেন। বললেন, পানি আগে এসে যাওয়ায়, বাঁধের উচ্চতা কম থাকায় নাকি বানের পানিতে সব ভেসে গেছে। কর্মকর্তা-প্রকৌশলী-ঠিকাদার সিন্ডিকেটের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে উনার অসুবিধা কোথায়? প্রধানমন্ত্রীতো ঠিকই বললেন, হাওর ব্যবস্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণে কোনো ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। শেখ হাসিনা বলতে পারেন, কারণ তার সততার শক্তি আছে বলে দেশের মানুষ জানে।

দুর্নীতি দমন কমিশন আগের থেকে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। এইজন্যই আমরা দেখছি কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, কোটি টাকার গাড়ি পানির নিচে, হাতিরঝিলের রাস্তায় পাওয়া যাচ্ছে। অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদক গ্রেপ্তার করছে। এগুলো ভালো লক্ষণ। যাদের দুর্নীতির হাতেখড়ি এখনো হয়নি, তারা সহজে শুরু করবে না আর দুর্নীতি করা যাদের রক্তে মিশে গেছে তারাও কিছুটা ক্ষান্ত দেবেন।

আমার মতে হাওরে সরকারি-বেসরকারি সিন্ডিকেটের দুর্নীতির মাত্রা ও পরিধি চিহ্নিত করা এবং দোষীদের খুঁজে বের করার জন্য দুদক এর বিশেষ টিম গঠন করা উচিত। দেশের মানুষকে বোকা মনে করার কোন কারণ নেই। সাধারণ মানুষ দেখছে, দেশের রাস্তা-ঘাটের কাজের মান কেমন হচ্ছে। কারা কীভাবে কাজ পায়, কাজ কতটুকু করে, সবই দেশের মানুষ বোঝেন।

গত আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রকে অনেক কিছু দিয়েছে। শুরুতে বিডিআর বিদ্রোহ না ঘটলে দেশ আরও এগিয়ে যেত। বড় বড় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এই সরকার। ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোটের পেট্রোলবোমা সন্ত্রাস সামলে স্থিতিশীল বাংলাদেশ স্থাপনে আপাত সফল বর্তমান সরকার। রহস্যময় জঙ্গিবাদী তৎপরতাও ভালোমত সামাল দিচ্ছে সরকার।

ভারত-মিয়ানমারকে আইনি লড়াইয়ে পরাজিত করে সুমদ্রে বিশাল অঞ্চল অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩২তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে মঙ্গা পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে। ২০১৬ সালের বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে অতিদারিদ্রের হার কমে ১২.৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের গবেষণা প্রতিবেদন মতে, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পুরোপুরি অতিদারিদ্র্যমুক্ত হবে। মানবউন্নয়ন নানা সূচকে বাংলাদেশ ভারতকেও অনেক পেছনে ফেলছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নিয়মিতভাবে সাতের উপর।

ফলে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের প্রাপ্তি আছে অনেক এই সরকারের আমলে। আমরা অর্থনীতিবিদ নই। পারলে অর্থনীতিবিদগণ একটু গবেষণা করে দেখুন না, স্বাধীনের পরে কোন সরকারের আমলে কতটুকু উন্নতি হয়েছে। সিপিডি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এ ধরনের গবেষণা করবে বলে মনে হয় না। আওয়ামী লীগে এমন গবেষক আছে বলেও আমার মনে হয় না। দলে দক্ষ অর্থনীতিবিদ থাকলে এক আবুল মাল আব্দুল মুহিত এতদিন অর্থমন্ত্রী থাকতেন না। যাই হোক, এত সাফল্যের সাথে সাথে বিতর্কও আছে অনেক।

বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্র ও গণপরিবহন ইত্যাদি কয়েকটি ক্ষেত্রে আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকার বেশ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে, বহু বছর ধরে। যাইহোক, এত সমস্যার ভেতরে আমাদের আশাবাদী হতে হবে। শুধুই সমালোচনা কখনো কাম্য নয়।

২০১৯ সালের নির্বাচন সামনে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর নির্বাচন। স্পর্শকাতর এ কারণে যে, আওয়ামী লীগ বিরোধী স্থানীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো সব একসাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হবে। দেশের মানুষ উন্নয়নের রাজনীতি মেনে নিয়েছে। এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে শেখ হাসিনা যে ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি কৃতিত্বের দাবিদার সেটা বলা বাহুল্য।

সাম্প্রতিককালে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট- আইআরআই এর একটি জনমত জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা সরকারের থেকেও এক শতাংশ বেশি! সরকারের জনপ্রিয়তা যেখানে ৬৬ শতাংশ সেখানে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা ৬৭ শতাংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জরিপে অংশ নেয়া ৬২ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথেই এগুচ্ছে। এই সংখ্যা ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইআরআই এর আগের জরিপের চেয়ে ছয় শতাংশ বেশি। জরিপে অংশ নেয়া ৭২ শতাংশ মনে করেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ইতিবাচক। আর অংশগ্রহণকারী ৬২ শতাংশ জননিরাপত্তা পরিস্থিতি সন্তোষজনক এবং ৬৪ শতাংশ রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে মত দিয়েছিলেন।

সরকারের জনপ্রিয়তা থেকে ব্যক্তি শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা বেশি-এ কথাটা শুনতে খুব ভালো লাগলেও সরকারের অন্যান্য মন্ত্রী ও আমলাদের ব্যর্থতাকে তুলে ধরে। মুশকিল হল, অন্য অনেক মন্ত্রী একথা স্বীকার করতে চান না যে তারা ব্যর্থ। তারা হাস্যকরভাবে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চান। দেশের কর্মজীবী মানুষ, ব্যবসায়ী, সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তুলনামূলক স্থিতিশীল পরিবেশ পেয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এদের বড় অংশ রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর নয়, ব্যক্তি শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখছেন।

কিন্তু শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী, মন্ত্রী, দেশের সকল রাজনীতিবিদকে সততা আর সক্রিয়তা দিয়ে কাজ করতে হবে। অথচ সবাই কেমন যেন শুধু নিজের উন্নতি, নিজের মঙ্গলের জন্যই দিন দিন লালায়িত হয়ে যাচ্ছে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :