রেলওয়ের বকেয়া: চাঁদপুরে সাত দোকানে সিলগালা

প্রকাশ | ০২ মে ২০১৭, ১৬:২৭

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাংলাদেশ রেলওয়ের চাঁদপুরস্থ রেলওয়ে এলাকায় বাণিজ্যিক লাইসেন্সের বকেয়া চার কোটি টাকা না পেয়ে সাতটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সিলগালা করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশতে রাজ রেজা দোকানগুলো সিলগালা করেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে লাকসামস্থ কাচারির ভারপ্রাপ্ত কানুনগো আবু সাঈদ।

ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা সিলগালা করে চলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে বকুলতলায় অবস্থিত সিলগালাকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির সিলগালা ভেঙে ফেলেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপি অফিসের সাবেক কেয়ারটেকার সাব্বির ছৈয়াল। এ ঘটনায় এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের চাঁদপুরস্থ রেলওয়ে এলাকায় লিজকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে রেলওয়ের চার কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। সে বকেয়া আদায়ের লক্ষ্যে রবিবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের ৫নং ঘাট, ৩নং ঘাট, কয়লাঘাট, বড় স্টেশন ও বকুলতলা এলাকায় রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশতে রাজ রেজা অভিযান চালান। এ সময় ৫নং ঘাট এলাকায় দুটি, ৩নং ঘাটে দুটি, বড় স্টেশন ইসলাম সর্দার নামীয় একটি দোকান, খোরশেদ আলম চৌধুরী নামীয় একটি দোকান ও বকুলতলায় অবস্থিত সাব্বির ছৈয়ালের একটি দোকানে বকেয়ার জন্য সিলগালা করে দেয়া হয়। এছাড়া যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অল্প পরিমাণ টাকা পাওনা রয়েছে তাদের বকেয়া পরিশোধের জন্য সর্তক করে সাত দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

গত রবিবার চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকা থেকে বকেয়া বাবদ প্রায় ছয় লাখ টাকা বকেয়া আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছেন লাকসামের ভারপ্রাপ্ত কানুনগো আবু সাঈদ। এর মধ্যে বড় অঙ্কের বকেয়া প্রায় ছয় লাখ টাকা পাওনা রয়েছে রেলওয়ে ৫নং ঘাট এলাকার খোরশেদ আলম চৌধুরী ও বকুলতলা এলাকার সাব্বির ছৈয়ালের নিকট এক লাখ ছয় হাজার টাকা।

ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশতে রাজ রেজা বকুলতলা সাব্বির ছৈয়ালের দোকানের বকেয়া না পেয়ে সিলগালা করে চলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে সাব্বির ছৈয়াল সরকারের আইন ভঙ্গ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া পরিশোধ না করে সিলগালা ভেঙে দোকান খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রেলওয়ে এলাকায় যাদের কাছে রেলওয়ে বকেয়া পাওয়া রয়েছে, তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ও আলোচনার ঝড় বইতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে সাব্বির ছৈয়ালের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘সরকারি দলে রয়েছি। বকেয়া পাওয়া রয়েছে, তা দিয়ে দেব। তালা মেরে সিলগালা করা ঠিক হয়নি বলে তা ভেঙে খুলে ফেলেছি।’

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা ইশতে রাজ রেজার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সরকারের নিয়ম মোতাবেক বকেয়ার জন্য তালা মেরে সিলগালা করা হয়েছে। সিলগালা ভেঙে ফেলা হয়েছে তা খোঁজ নিচ্ছি। আমরা আবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে আইন গত ব্যবস্থা নেব।’

(ঢাকাটাইমস/০২মে/প্রতিনিধি/জেবি)