স্বাধীন, নাকি দায়িত্বশীল; কেমন গণমাধ্যম চাই?

শেখ আদনান ফাহাদ
 | প্রকাশিত : ০২ মে ২০১৭, ২২:৫৮

‘স্বাধীন’ গণমাধ্যম বনাম ‘দায়িত্বশীল’ গণমাধ্যম, কোনটি বেশি আকাঙ্ক্ষিত? গণমাধ্যম জগতে এ বিতর্ক বহু পুরনো। ‘স্বাধীন’ গণমাধ্যমেরই দায়িত্বশীল হওয়ার কথা। তাহলে ‘স্বাধীন’ ও ‘দায়িত্বশীল’ গণমাধ্যম, দুটি ভিন্ন ধারণার জন্ম হল কেন? স্বাধীন গণমাধ্যমের ধারণা যেখানে ব্যর্থ সেখানেই জন্ম হয় ‘দায়িত্বশীল’ গণমাধ্যম ধারণার।

গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ফ্রেডরিক এস সিবার্ট, থিওডর পিটারসন এবং উইলবার শ্র্যাম তাদের ‘ফোর থিওরিস অব প্রেস’ বইতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিচালিত চারধরনের গণমাধ্যমের কথা তুলে ধরেছেন। এগুলো হল, কর্তৃত্ববাদী প্রেস, কম্যুনিস্ট প্রেস, লিবার্টিরিয়ান প্রেস এবং সোশ্যালি রেসপনসিবল প্রেস।

সাধারণ মানুষ এত তত্ত্ব বোঝেনা। আবার সাধারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতাকে আন্ডারমাইন করাও ঠিক না। তত্ত্ব না বুঝুক, তত্ত্বগুলোতে যা বলার চেষ্টা করা হয়েছে তার ধারণা বা আন্ডারস্ট্যান্ডিং জনপরিসরে আছে। গণমাধ্যমের কর্তাব্যক্তিরা ভাবেন, ভাবাদর্শগত আধিপত্য বিস্তারের প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষকে যা দেয়া হবে, সে তাই খাবে। কিন্তু আদতে ‘পাবলিক’ সব খায়না। থতমত খেয়ে কিংবা বিভ্রান্ত হয়ে প্রথমে নতুন কোনো খাবার মুখে নিলেও সব সময় গিলেনা, হজমও হয়না সবসময়। সাম্প্রতিককালে বাঙালি ‘ঔপন্যাসিক’ কাসেম বিন আবু বাকার সংক্রান্ত আলোচনা-সমালোচনা, পাবলিক এবং ইন্টেলেকচুয়াল পারসেপশন এর বৈসাদৃশ্য আওয়ামের নিজস্ব ভাবনা জগত ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের বৈচিত্রকে তুলে ধরে। ভাবাদর্শগত আধিপত্য বিষয়ে ইতালিয় দার্শনিক এন্তনিও গ্রামসির আশংকা যৌক্তিক, কিন্তু সব ক্ষেত্রে এই আশংকা একইভাবে সত্য হয়না।

ফলে তাত্ত্বিকরাই সব বুঝেন, পরিষ্কার দেখতে পান আর আওয়াম কিছু বুঝেনা, এমন ধারনা খুবই বাস্তবতা বিবর্জিত। সাধারণ মানুষের বোঝার ক্ষমতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, পরাধীনতা আর দায়িত্বশীলতা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।

গণমাধ্যমের ‘স্বাধীনতা’ থাকলেই গণমাধ্যম চর্চার সব জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট উদ্দেশ্য হাসিল হয় এমন ভাবনা এবং বিশ্বাস সর্বক্ষেত্রে প্রমাণিত নয়। ১৯৭১ সালের পরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নব্য স্বাধীন বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চর্চার অবাধ সুযোগ দিয়েছিলেন। এই সুযোগ বেশ নেতিবাচকভাবে ‘কাজে’ লাগিয়েছিল তৎকালীন সংবাদপত্রগুলো। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে গণমাধ্যমের যে ‘গঠনমূলক’ ভূমিকা রাখার কথা ছিল, সেটা তখনকার সংবাদপত্রগুলো রাখতে পারেনি, বলা যায় বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষিত ভূমিকা তারা পালন করেনি।

এক্ষেত্রে হতদরিদ্র নারী বাসন্তিকে জাল পড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করার ‘সাংবাদিকতা’কে আমরা উদাহরণ হিসেবে আনতে পারি। স্বাধীনতা পেয়েও সেদিন দেশের ইতিহাসের অন্যতম আলোচিত একটা পত্রিকা গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারেনি বা রাখেনি। বরং স্বাধীনতাকে কতিপয় সংবাদপত্র তাদের মালিক এবং সম্পাদকের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূরণের কাজে লাগাতে ব্যবহার করেছেন। এবং স্বাধীনতার সুযোগ নিতে নিতে একপর্যায়ে বাসন্তীকে জাল পড়িয়ে দিয়ে ফেইক ছবি বিশ্বে ছড়িয়ে দেয়ার মত অপরাধও করা হয়েছে। হলুদ সাংবাদিকতার এ এক ন্যাক্কারজনক দৃষ্টান্ত।

‘স্বাধীন গণমাধ্যম’ ছাড়াও বিশ্বে নানা পদের গণমাধ্যম রয়েছে। কর্তৃত্ববাদী গণমাধ্যমের উদাহরণ আমাদের দেশ থেকে দিতে হলে বলা যায় সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান অথবা হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের আমলের গণমাধ্যমের কথা। খুব সাম্প্রতিককালে সর্বশেষ সামরিক বাহিনী-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক আমলের অবস্থা দিয়েও আমরা কর্তৃত্ববাদী মিডিয়া দর্শনের উদাহরণ দিতে পারি। ঐসময় যারা মিডিয়া হাউজগুলোতে দায়িত্বশীল পদে ছিলেন তারা আমার সাথে একমত হবেন। সাধারণত একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরশাসনের অধীনে কর্তৃত্ববাদী দর্শন কাজ করে। স্বৈরশাসকের বা স্বৈরশাসনতন্ত্রের স্বার্থের বিরোধী কোনো কিছুই গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা যাবেনা। অন্যদিকে গণতন্ত্রকামী প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে সামরিক বা স্বৈরশাসকরা মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারে। অথবা মিডিয়া নিজেই ঝামেলা এড়াতে বা নিজেরাও রাজনৈতিক খেলার অংশ হিসেবে অপসাংবাদিকতা করতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জড়িয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি সংবাদপত্র ভুয়া নিউজ ছাপিয়েছিল। একটি পত্রিকার সম্পাদক কয়েক মাস আগে প্রকাশ্যে টেলিভিশনে বিবেকের তাড়নায় সেই হলুদ সাংবাদিকতার কথা স্বীকার করে আলোচনায় এসেছিলেন।

অনেকে কর্তৃত্ববাদী গণমাধ্যম আর কম্যুনিস্ট প্রেসকে এক মনে করে গুলিয়ে ফেলে। হ্যা নিয়ন্ত্রণের ধরন এবং সরকারমুখিতার দিক থেকে মিল আছে বলা যায়। কিন্তু পরিষ্কার পার্থক্য আছে। কর্তৃত্ববাদী প্রেস যেখানে স্বৈরতন্ত্রের মুখাপেক্ষী, কম্যুনিস্ট প্রেস সেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাসীন পার্টির দিকনির্দেশনায় চলে। পার্টি ‘সাম্যবাদ’ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে মিডিয়াকে সহযোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করে এবং কাজে লাগায়। এখানে পার্টির আদর্শকে সমুন্নত রেখে সাংবাদিকতা করা হয়, তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যদি পার্টি তথা রাষ্ট্রের আদর্শ এবং লক্ষ্যের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ কাজ করে তাহলে এ নিয়ে সমালোচনা ও পর্যবেক্ষণমূলক সংবাদ, ফিচার, সম্পাদকীয় লেখা যাবে বা প্রচার করা যাবে। সফল কম্যুনিস্ট প্রেসের উদাহরণ হিসেবে আমরা চীনের সিনহুয়ার কথা বলতে পারি। সাম্রাজ্যবাদী পশ্চিমা গণমাধ্যমের লাগামহীন অপপ্রচারকে রুখে দিয়ে চীন যে এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ সেখানে সিনহুয়ার ভূমিকা ঐতিহাসিক। ‘স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ’ গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিত সিএনএন কতটা অবস্তুনিষ্ঠ আর পক্ষপাতদুষ্ট সেটা বোঝাতে চীনে একটা কথা প্রচলিত আছে। ‘পক্ষপাতদুষ্ট হইয়োনা’ এর ইংরেজি বলতে গিয়ে চীনে বলা হয় ‘ডোন্ট বি সো সিএনএন’। বিবিসি, এপি, এএফপি সম্পর্কেও চীনে একই ধারনা এবং বিশ্বাস। চীনারা পশ্চিমাদের মন ভুলানো সাংবাদিকতায় ভুলোমনা না হয়ে নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাচ্ছে।

লিবার্টিরিয়ান প্রেসের মূল কথা হল, গণমাধ্যমের কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে সরকারের কোনোধরনের হস্তক্ষেপ থাকবেনা। মিডিয়া এখানে হবে চূড়ান্ত অর্থে স্বাধীন। জনগণের বাক স্বাধীনতাকে সামনে রেখে এখানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ডিফেন্ড করা হয়। সরকারি যে কোনো ধরনের নির্দেশনা কিংবা পরামর্শকে এক্ষেত্রে স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে ধরে নেয়া হয়। মিডিয়া ফিলসফি নিয়ে সরকারের পরিষ্কার ধারণা না থাকায়, সরকারও অদক্ষতার ফলে মিডিয়ার ‘স্বাধীনতা’ ধারণাতেই আত্মসমর্পণ করে । এর সুযোগ নেয় ‘স্বাধীন গণমাধ্যম’ গুলো। বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং অর্থনৈতিক স্বার্থের কাছে মাথা বিক্রি করে দিয়ে তথাকথিত স্বাধীন গণমাধ্যমগুলো কাজ করে। যেমন পদ্মাসেতু নির্মাণ ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক এর দুর্নীতিবিষয়ক বয়ান অত্যন্ত পেশাদারিত্বের মোড়কে বাংলাদেশের বড় বড় সংবাদপত্র প্রচার করেছে। পরে কানাডার একটি আদালত তদন্ত শেষে রায় দিয়েছে বিশ্বব্যাংক ভুয়া অভিযোগ করেছিল।

পরিপূর্ণ ‘স্বাধীন’ হতে চাওয়া গণমাধ্যমগুলো নিজেদের ‘পরাধীনতা’কে তুলে ধরতে গিয়ে সবসময় অবধারিতভাবে ‘সরকার’ কিংবা ‘রাষ্ট্রযন্ত্র’কেই ভিলেন বানায়। সরকার, ক্ষমতাসীন দল নিজেদের কোনো দুর্নীতি বা অপকর্মের খবর ধামাচাপা দিতে চাইতে পারে, লাইসেন্স বাতিলের ভয় দেখাতে পারে, সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু এরপরেও যতটুকু কার্যকর সাংবাদকিতা করা যেত, সেই রাস্তাও বন্ধ করে দেয় সংবাদমাধ্যম নিজেই। এক্ষেত্রে গণমাধ্যমের আত্ম-বন্দী দশা বোঝাতে আমরা নোম চমস্কি আর এডওয়ার্ড এস হারম্যানের ‘প্রোপাগান্ডা মডেল’ বা প্রচারণা মডেলের ব্যবহার করতে পারি। মিডিয়া নিজেই কীভাবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করেনা তা একটি ধারণাগত মডেল দিয়ে তারা বুঝিয়েছেন। পাঁচটি কারণকে চমস্কি আর এডওয়ার্ড এস হারম্যান ফিল্টার হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। ছাঁকনি দিয়ে মিডিয়া নিয়ন্ত্রকরা ঝামেলা হবে এমন সংবাদ বাদ দিয়ে দেয়। প্রথম ফিল্টারটি হল, মালিকানা। মালিক পক্ষের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে এমন একটা সংবাদ কিংবা ছবিও কেউ প্রচার করেনা। আরেকটি ফিল্টার হল, বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন যারা দেয়, তাদের বিরুদ্ধে কোনো স্বাধীন মিডিয়া কি কোনো নিউজ করতে পারে?

আরেকটি ফিল্টার হল, সংবাদের উৎস (সোর্স)। সময় ও অর্থ বাঁচাতে, আপদ-বিপদ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে চলতে মিডিয়াগুলো প্রতিদিন একই জায়গায়, একই অফিসে, একই ধরনের প্রোগ্রামে সাংবাদিক প্রেরণ করে। এজন্য খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের দেশে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সংবাদ-ভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদনগুলো ঘুরে ফিরে একই ব্যক্তি বা দল বা বিষয় নির্ভর। কৃষকরা যেহেতু এদেশে কোনো ‘ক্ষমতা’ রাখেনা, সেহেতু অফিসগুলোতে কৃষিবিট বলে কোনো বিট নেই। কিন্তু আওয়ামীলীগ বিট আছে, বিএনপি বিট আছে। মন্ত্রণালয়, সচিবালয়, গণভবন, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের অফিস, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, আর্মি হেডকোয়ার্টার ইত্যাদি জায়গায় নিয়মিত সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা তৎপর থাকে। যারা গার্মেন্টস বিট করে তারা শ্রমিকের কাছে তখনি যান যখন শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে সহিংস হয়ে উঠে। এছাড়া মালিক শ্রেণির সাথেই মিশতে কিন্তু সাংবাদিকরা গর্ববোধ করেন।

চার নম্বর ফিল্টার হল ফ্লেক বা ভয়-ভীতি প্রদর্শন। সরকারি দল বা কোনো পাওয়ারফুল জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল, সরকারি কোনো বাহিনী কিংবা দাউদ ইব্রাহিম টাইপ বড় কোনো অপরাধীর ভয়ে অনেক সময় মিডিয়াগুলো অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদ কিল করে।

পাঁচ নম্বর ফিল্টারটি হল কম্যুনিজম-বিরোধিতা। ইদানিং কম্যুনিজম এর সাথে যোগ হয়েছে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ ইস্যু। খেয়াল করে দেখবেন, রাশিয়া, চীন, কিউবা, উত্তর কোরিয়া কিংবা ইরান তখনই বিবিসি কিংবা এপি, এএফপিতে সংবাদ হয় যখন সেখানে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়। সাম্যবাদী বা সমাজতন্ত্রের আদর্শে বিশ্বাসী কোনো রাষ্ট্রে নেতিবাচক ঘটনা ঘটলেই সংবাদ প্রচার করে এরা। এর ফলে আধিপত্যবাদ বিস্তারের মনস্তাত্ত্বিক লড়াইয়ে রাশিয়া কিংবা চীন জাতীয় রাষ্ট্রগুলো পিছিয়ে পড়ে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে একটা উদাহরণ দিই। কোথাও কোনো মুসলিম অপরাধ করলে সেখানে মুসলিম কিংবা ইসলাম জাতীয় শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়। অন্য কোনো ধর্মের কেউ একই অপরাধ করলে হয় নিউজ করেনা অথবা নিউজ করলে তার ধর্মীয় পরিচয় গোপন করা হয়। এভাবেই পুরো বিশ্বে মুসলমানদের সম্পর্কে বাজে ধারনা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে পশ্চিমা মিডিয়াগুলো। পশ্চিমা মিডিয়াগুলোর কাজ সহজ করে দিতে সৃষ্টি করা হয়েছে আল-কায়েদা বা আইএসের মত রহস্যময় নেটওয়ার্কের।

‘স্বাধীন’ মিডিয়ার এতসব সীমাবদ্ধতা থেকে উন্নয়নশীল বিশ্ব থেকে সৃষ্টি হয়েছে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার ধারণার। স্বাধীনতার নামে মিডিয়া স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠে। নিজেদের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে স্বাধীনতার নামে মিডিয়া বেপরোয়াভাবে নেতিবাচক সাংবাদিকতা করতে পারে। রাষ্ট্র ও জনস্বার্থকে কম গুরুত্ব দিয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক প্রভুর হয়ে কাজ করতে পারে। এ সংক্রান্ত উদাহরণ আগেই দেয়া হয়েছে। তাই বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসে সবাই নিজেকে জিজ্ঞেস করুন। যে স্বাধীনতার কথা আপনারা বলেন, সেটা কার স্বাধীনতা? মালিকের, সম্পাদকের, সাংবাদিকের নাকি সাংবাদিকতার?

লেখকঃ সহকারী অধ্যাপক, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :