সাম্প্রতিক

পিছিয়ে পড়া কওমি শিক্ষা এবং দলাদলি

মাসুদ কামাল
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০১৭, ১১:১৬

কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সরকারি স্বীকৃতি দেয়াকে কেন্দ্র করে দেখা যাচ্ছে নানা বিতর্ক। বিতর্কটা নতুন নয়, আগেও ছিল। কিন্তু অতি সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক ঘোষণার পর বিতর্কটি যেন নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি দাওরা-ই-হাদিসকে তার সরকার মাস্টার ডিগ্রির সমমান দিতে চান।

এই বক্তব্যের পর থেকেই যেন বেড়ে গেছে বিতর্কের মাত্রা। এমনিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিটা বড় বিচিত্র। এখানে নীতি-নৈতিকতা, সত্য-মিথ্যা নির্ভর করে শীর্ষ নেতা-নেত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। কিছুদিন আগেও যারা কওমি মাদ্রাসাকে জঙ্গি প্রশিক্ষণের কেন্দ্র মনে করতেন, সে অনুযায়ী বক্তব্য দিতেন, তারা হঠাৎ করেই চুপ মেরে গেলেন। দিন কয়েক একটু দেখলেন, তারপর আস্তে আস্তে বলতে শুরু করলেন- প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত কত বেশি সঠিক হয়েছে, এটা এখনই বাস্তবায়ন করা দরকার, ইত্যাদি। নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা, পুরো দেশের মানুষ যাকে এক নামে চেনে, সেই শামীম ওসমান বলে বসলেন ২০১৩ সালের মে মাসে মতিঝিলে যে তা-ব চলেছিল সেটা নাকি কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক বা হেফাজতে ইসলাম করেনি। ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলে কি হয়েছিল, কেন হয়েছিল, সে আলোচনায় আমরা একটু পরে আসবো। কিন্তু শামীম ওসমান এখন এটা কেন বলছেন? প্রধানমন্ত্রী সেদিন ওই ঘোষণাটি না দিলে ওনার পবিত্র মুখে এই বাণী কি শোনা যেত? ২০১৩ সালের পর চার চারটি বছর পার হয়ে গেছে। কই, এই চার বছরে একবারও কি তার মুখে এমন কথা শোনা গেছে?

ওলামা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমএ ডিগ্রি প্রদান ছাড়া অন্য একটি প্রসঙ্গেও কথা বলেন। সেটি হাইকোর্টের সামনে থাকা ভাস্কর্য নিয়ে। এটিও ছিল হেফাজতে ইসলামের একটি দাবি। ‘গ্রীক দেবী’ থেমিসের ভাস্কর্যটি হাইকোর্টের সামনে থাকা ঠিক নয়, এটি অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবি ছিল হেফাজতে ইসলামের। ওলামা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নিজেই জানালেন ওই ভাস্কর্যটি তাঁরও পছন্দ নয়। বললেন- গ্রীক ভাস্কর্য অথচ তার গায়ে শাড়ি পরিয়ে দেয়া হয়েছে! প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের আগে আমি কোনো আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী বা আওয়ামী লাইনের বুদ্ধিজীবীর মুখে এই ভাস্কর্য নিয়ে একটি নেতিবাচক শব্দও শুনিনি। উল্টো বরং সকলের মধ্যে দেখা গেছে ভাস্কর্যটিকে টিকিয়ে রাখার জন্য জান লড়িয়ে দেওয়ার মতো একটা দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। এখন আশা করা যায়, উল্টো কিছু দেখা যাবে। এটাই এখন এদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে গেছে। নিজস্ব জ্ঞান, যুক্তিবোধÑ এসব আর কারও মধ্যে নেই। আসলে থাকতেই নেই। আমি যেন সেটাই ভাবি, যা আমার নেতা ভাবেন। আমার সব যুক্তি বা চিন্তাই ভুল, যদি আমার নেতা সেটাকে সঠিক মনে না করেন। নেতা কেন সেটাকে সঠিক মনে করেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন করার যোগ্যতাও যেন আমরা হারিয়ে বসেছি।

এটা কিন্তু কেবল সরকারি দলের জন্যই নয়, প্রধান বিরোধী দল বিএনপি, গৃহপালিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, কিংবা এই যে এখন এত আলোচনা চলছে যে হেফাজতে ইসলামকে নিয়ে- তাদের ক্ষেত্রেও শতভাগ প্রযোজ্য। ২০১৩ সালের সেই ঢাকা অবরোধ বা মতিঝিলে অবস্থান কর্মসূচির কথাই ধরা যাক। মাদ্রাসার যে ছাত্র-শিক্ষকরা তখন কোচরে চিড়া মুড়ি নিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেছিলেন, তারা কি জানতেন- কি উদ্দেশ্য ছিল তাদের এই কর্মসূচির? এই কর্মকা-ে জড়িত হয়েছিলেন এমন দু-একজনের সঙ্গে পরে আমার কথা হয়েছে। জানতে চাইলে তারা কেবল এতটুকু বলতে পেরেছিলেন- শফী হুজুর বলেছেন তাই গিয়েছিলাম। শফী হুজুর কেন বলেছেন, বলাটা ঠিক হয়েছিল কি না, বললেনই যদি তাহলে তিনি নিজে কেন মতিঝিলের সমাবেশে হাজির হলেন নাÑ এসব নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। হুজুর বলেছেন, অতএব ওটা মেনে চলা, জান লড়িয়ে দেওয়াই তাদের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

এখন আলোচনার বিষয় হচ্ছে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থা। এ নিয়ে আওয়ামী বুদ্ধিজীবীরা এখন বেদম বেকায়দায়। এতদিন যেভাবে কাছা দিয়ে বিরোধিতা করেছেন, এখন দলের শীর্ষ নেত্রীর বক্তব্যের পর কি বলবেন বুঝতে পারছেন না। তারা যেহেতু একেবারে দলীয় কর্মী নন, তাই ডিগবাজি দিলেও একটু রয়ে সয়ে দিতে হয়। অনেক বুদ্ধিজীবী অবশ্য এমনও ভাবছেন, আহা প্রধানমন্ত্রীর এমন মনোভাবটা যদি একটু আগেভাগে বুঝতে পারতাম! এখন যা বলে ফেলেছি, সেটাকে আবার ফেরত নিই কিভাবে? যদি তারা সরকারের বিভিন্ন সময়ে নেওয়া পদক্ষেপগুলো আগে থেকেই কিছুটা বিবেচনায় নিতেন, তাহলে দেখতেন এই পদক্ষেপটা অনেকটা অবধারিতই ছিল। কওমি শিক্ষাকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা সরকার অনেক আগে থেকেই ভাবছে। ২০১২ সালে প্রথম তারা এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তখন একটা কমিটিও গঠন করা হয়। সেই কমিটির প্রধানও ছিলেন এই আহমদ শফী। এই কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, কওমি শিক্ষাকে কিভাবে সরকারি নীতিমালার মধ্যে আনা যায়, তার একটা পথ অনুসন্ধানের। ১৭ সদস্যের সেই কমিটি তেমন কার্যকর কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। এই যে না পারা, তার মূলে কিন্তু কোনো আদর্শগত দ্বন্দ্ব ছিল না। বরং ছিল রাজনৈতিক টানাপড়েন। কমিটির চেয়ারম্যান আহমদ শফী থাকলেও কো-চেয়ারম্যান ছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। এই ভদ্রলোককে বরাবরই আওয়ামী ভাবাদর্শের বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। আবার কমিটির সদস্য সচিব ছিলেন মাওলানা রুহুল আমীন। নির্বিরোধী হিসাবে রুহুল আমীন সাহেবের একটা পরিচিতি থাকলেও, গোপালগঞ্জের মানুষ হওয়াটাই ওনার জন্য অযোগ্যতা হিসাবে বিবেচিত হলো অনেকের কাছে। শফী হুজুর তখন এই দুটি পদে পরিবর্তনের দাবি জানালেন। কাদের কাদের নিতে হবে, সেটাও জানালেন। এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে তার দুটি বৈঠকও হলো। কোনো সুরাহা হলো না। কমিটি আগেরটাই থাকলো। শফী হুজুর কমিটির মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলেন। মিটিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলেও, চেয়ারম্যান হিসাবে সরকার নির্ধারিত ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিতে কিন্তু কোনো গড়িমসি করলেন না। এরই মধ্যে এসে গেল ২০১৩ সালের মে মাসের সেই ঢাকা অবরোধের ঘটনা। সরকারের সঙ্গে হেফাজতের তৈরি হলো বিশাল এক দূরত্ব।

এরপর কিছুদিন বিরতি দিয়ে সরকার সেই কমিটিকে আবার চাঙ্গা করলো। তারা একটা সুপারিশও দিল। কিন্তু বাদ সাধলো শফী হুজুরের হেফাজত। বললো- সরকার ওই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে গেলে দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ বেধে যাবে। এই যে প্রতিবাদ, গৃহযুদ্ধের হুমকি- এটা কেন? কোনো নৈতিকতার প্রশ্নে কি? না, সেরকম কিছুর কথা কিন্তু হেফাজতের পক্ষ থেকে তখনো বলা হয়নি, এখনো বলা হয় না। পুরো বিরোধিতাটাই ছিল কমিটির লোকজন নিয়ে। বিরোধটা নীতি-নৈতিকতা নিয়ে নয়, পছন্দের ব্যক্তিকে কমিটিতে রাখা না রাখা নিয়ে। এমনকি এবার যে নীতিমালাটা তৈরি হচ্ছে, সেটা কিন্তু ওই আগের নীতিমালার আলোকেই হচ্ছে এবং ধরে নেওয়া যায় দু-একটা বাক্যের এদিক-সেদিক ব্যতিরেকে হয়তো আগেরটাই গৃহীত হবে। তবে এবার গৃহযুদ্ধের হুমকি কেউ দেবে না। কারণ, এবারকার কমিটি হয়েছে পছন্দের লোকদের নিয়ে। অথবা আগের অপছন্দের লোকগুলোকে এখন তারা পছন্দ করছেন। কেন পছন্দ করছেন- সেটা অবশ্য ভিন্ন প্রশ্ন।

আসলে সমস্যার মূলটা নিহিত এখানেই। সিদ্ধান্ত বলুন, নীতি বলুন, নিয়ম বলুন- সবই ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে। আমার পরিচিত এক মুফতি আছেন, ভদ্রলোক বয়সে অতটা প্রবীণ নন, কিছুটা তরুণই বলা যায়, তিনি সেদিন দুঃখ করে বললেন, আমাদের এই হুজুরদের দলাদলির কারণেই দেশে ধর্মীয় শিক্ষার এই দুরবস্থা।

হুজুরদের এই দলাদলির বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় তাদের শিক্ষা বোর্ডগুলোর দিকে তাকালেই। দেশে এখন সরকারি হিসাবেই কওমি মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রী আছে প্রায় ১৫ লাখ। আর বেসরকারি হিসাবে এটা ২৪ লাখের ওপর। এই যে এত ছাত্রছাত্রী, এদের নিয়ন্ত্রণ কিন্তু একক কোনো বোর্ডের অধীনে নেই। কওমি শিক্ষার জন্য দেশে এখন ছয়টি বোর্ড। কেউ কাউকে মানে না। এদের নামের মধ্যেও কোনো মিল নেই। যেমন বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ ঢাকা, আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া চট্টগ্রাম, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, আযাদ দ্বীনি এদারা সিলেট, তানজীমুল মাদারিসিল কওমিয়া বগুড়া এবং জাতীয় দ্বীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ। কেবল পদ দখলের অভিপ্রায় থেকেই এত দ্বিধাবিভক্তি।

সেই কওমি শিক্ষাকে সরকার একটা নীতিমালার মধ্যে আনার চেষ্টা করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটাকে একটা শুভ উদ্যোগ বলেই বিবেচনা করি। সেদিন একটা টেলিভিশন টক শোতে দেখলাম, একজন বুদ্ধিজীবী বলছিলেন- কওমি শিক্ষাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলে, ডিগ্রি দেওয়া হলে জব মার্কেটে নাকি একটা অস্থিরতা তৈরি হবে। এই শিক্ষা বাস্তব জীবনে কি এমন কাজে লাগবে যে এদেরকে সার্টিফিকেট দিতে হবে? ইত্যাদি। এসব কথা আসলে অনেকদিন ধরেই উচ্চারিত হয়ে থাকে। আবার এর বিপরীত মতও আছে। সেদিন একজন বললেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পালি ও সংস্কৃতি নামে একটা বিভাগ আছে। এখান থেকে মাস্টার ডিগ্রি দেয়া হয়ে থাকে। দেশে পালি ও সংস্কৃতির কি ব্যবহার আছে? এ রকম একটি মৃত ভাষা নিয়ে যদি স্নাতকোত্তর সার্টিফিকেট পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ম বিষয়ক সর্বোচ্চ জ্ঞান লাভের পর কেন স্বীকৃতি মিলবে না?

এ প্রশ্নের জবাব আমার কাছে নেই। আমার কাছে আরও কিছু প্রশ্নের জবাবও নেই। যেমন, অনেকে কওমি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিজাতীয় শিক্ষা বলে থাকেন। বলেন- এখানে নাকি বাঙালি সংস্কৃতির কিছুই শিক্ষা দেওয়া হয় না। তাদের পাঠ্য তালিকায় আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতির পিতা, আমাদের ঐতিহ্যÑ এসব কিছুই নেই। আছে কি নেই, আমি অতটা জানি না। না থাকলে যোগ করে দিলেই তো হয়। কিন্তু পাল্টা একটা প্রশ্নও কিন্তু রয়েছে এক্ষেত্রে। ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা ব্যবস্থায় কি আছে সেসব? এই যে ক্যামব্রিজ বা এডেক্সেলে আমাদের বাচ্চারা পরীক্ষা দেয়, ওদের সিলেবাসের দিকে কি কেউ একবার তাকিয়ে দেখেছেন? আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য বা সংস্কৃতির কতটুকু প্রতিফলন রয়েছে সেখানে?

সরকারের এই সিদ্ধান্তটি আমার বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজে কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সমর্থক নই। আমার পরিবারের কেউ এ শিক্ষায় শিক্ষিতও নয়। তারপরও আমি মনে করি, এই শিক্ষাটিকে একটা নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা দরকার। সারা দেশের কওমি শিক্ষা পরিচালিত হওয়া দরকার সেই নীতিমালার মধ্যেই। এই নীতিমালাটা দরকার এর ব্যাপকতার কারণে। সরকারি এবং বেসরকারি হিসাবের গড় করলে বলতে হয়, দেশে এখন ২০ লাখের মতো ছেলেমেয়ে রয়েছে যারা কওমি মাদ্রাসায় পড়ে। এর বাইরে প্রতি বছর এক লাখ করে হিসাব করলে গত ২০ বছরে কওমি মাদ্রাসা থেকে বের হয়েছে আরও ২০ লাখ। এই ২০ লাখ লোক এই সমাজেই আছে। তাদের পরিবারের কথা ধরলে আরও কমপক্ষে ৪০ লাখ। এভাবে এই দেশে ৮০ লাখের মতো মানুষ রয়েছে যারা কওমি মাদ্রাসায় পড়ছে, পড়েছে কিংবা এই শিক্ষায় শিক্ষিতদের সঙ্গে বসবাস করছে। এই বিপুল জনসংখ্যাকে আপনি অপছন্দ করতে পারেন, সমালোচনা করতে পারেন, এমনকি ঘৃণাও করতে পারেন; কিন্তু উপেক্ষা কোনোভাবেই করতে পারবেন না। আমাদের এই দেশটা এদেরকেও নিয়ে। এরাও এই দেশের নাগরিক। তারা যদি দেশবিরোধী বেলাইনে কিছু করে থাকে, তাদেরকে লাইনে আনুন। কিন্তু তাদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসাবে বিবেচনার কোনো অধিকার আপনার নেই, কারোরই নেই।

মাসুদ কামাল : লেখক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :