বাজেটে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০১৭, ১৫:৫০

আগামী অর্থবছরের বাজেটে এভিয়েশন ও পর্যটন খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। এ দুটি খাতকে গুরুত্ব দিলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (এটিজেএফবি) আয়োজনে বুধবার রাজধানীর মহাখালীতে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তারা এই দাবি করেন। অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান প্রয়োজনী উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দেন।

পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড দেয়ার উদ্যোগের কথা জানিয়ে মেনন বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করতে পারিনি যে সরকার পর্যটন খাতকে বেশি গুরুত্ব দেবে। তবে গত কয়েক বছরে এ খাতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে।’

মেনন বলেন, ‘পর্যটন খাতে প্রণোদনা প্রয়োজন। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করবো। এভিয়েশনের খাতে জ্বালানি তেলের মূল নিয়ে আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা প্রয়োজন। সারচার্জ ও ল্যান্ডিং চার্জ নিয়ে কাজ চলেছে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিতে আরও বেশি সচেতনতা প্রয়োজন।’

অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয় নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা বরাদ্দ ঠিক করি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে। আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড়ের জন্য আটকে থাকে, এমন ধারণা ভুল। পর্যটন খাতে শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির বিষয়টি আমরা বিবেচনা করবো।’ এভিয়েশন খাতে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রানালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘ট্যাক্সের ক্ষেত্রে সমন্বয়ের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের পর্যটন খাতকে অগ্রাধিক দিতে হবে। পর্যটন খাতে ইনসিনটিভ দেয়ার জন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। পর্যটন খাতে শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধা দেয়া উচিত। পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীদের অ্যাওয়ার্ড ও সিআইপি ঘোষণার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা উৎসাহী হবেন।’

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যেতে পারিনি। তবে সরকারি বেসরকারি উদ্যোগে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এখাতের জন্য ট্যাক্স হলিডেসহ আর্থিক প্রণোদন দেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা বিদেশি পর্যটক নিয়ে আসেন তাদের জন্য বিশেষ ট্যাক্স ছাড়ের উদ্যোগ নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে, এতে এ খাতে সঙ্গে সম্পৃক্তরা উৎসাহ পাবেন।’

পর্যটন খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ সময়মতো ছাড় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অপরূপ চৌধুরী।

নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাদের দেশে লাইন্সগুলোর সমস্যার অন্ত নেই। বিশেষ করে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলে দামের মূল্য অতিরিক্ত। অথচ আমাদের দেশে পার্শ্ববর্তী দেশে আমাদের চেয়ে কম মুল্যে জ্বালানি তেল পাওয়া যায়। অতিরিক্তি মূল্যের জন্য বিদেশি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশি এয়ারলাইন্সগুলোর জন্য সরকারে আরও বেশি সহায়তা প্রয়োজন।’

আলোচনা সভায় আসন্ন বাজেট উপলক্ষ্যে টোয়াবের দেয়া প্রস্তাব তুলে ধরেন টোয়াবের পরিচালক ও প্যাসিফিক এশিয়া ট্রাভেল লিমিটেড (পিএটিএ) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব তৌফিক রহমান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকরী পর্যটন সংস্থাগুলোর জন্য করমুক্ত যানবহন আমদানির অনুমোদন, টোয়াবের সদস্যদের বিশেষ বিবেচনায় ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠনোর নিশ্চয়তা, ট্যুর অপারেটরদের সম্মানজনক হারে প্রণোদনা দেয়া এবং কারনেটর মাধ্যমে ক্রস বর্ডার ট্যুরিজম সেবা দেয়া।

এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের সভাপতি নাদিরা কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ, এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ (আটাব) সভাপতি এসএন মঞ্জুর মোর্শেদ, মহাসচিব আব্দুস সালাম, মনিটর সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ও এটিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক তানজিম আনোয়ার, পর্যটন বিচিত্রার সম্পাদক মহিউদ্দিন হেলাল প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৩মে/জেআর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :