পিরোজপুরে যুদ্ধাপরাধ অভিযোগের মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ
পিরোজপুর আদালতে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলা আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার শুনানি শেষে পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মো. সাইফুজ্জামান আদেশ দেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে গত ১৯ এপ্রিল আব্দুল মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা (৭৭) নামের এক বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালতে মামলা দায়ের করেন ইন্দুরকানী উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার ফরাজি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আব্দুল মান্নান খা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে মিলে স্থানীয় মুক্তিকামী মানুষ হত্যা, বাড়ি ঘরে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারী ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে ১৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে। নাম উল্লেখ করে ২২ জনকে স্বাক্ষী করা হয়েছে।এজাহার সূত্রে আরও জানা গেছে, ১৯৭১ সালে আব্দুল মান্নান খা ওরফে মন্নাফ খা বাড়িঘরে লুটপাট, অগ্নি সংযোগ, সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত করা ও নারী ধর্ষণসহ পাক হানাদার বাহিনীর সহায়তায় গাবগাছিয়া গ্রামের মোতাহার মীরের ছেলে ওয়াজেদ মীর ও ধনাঞ্জয় হালদারের ছেলে গনেশ হালদারকে হত্যা করেন।
বাদীর আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, পিরোজপুর জেলা ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ নামে যে বই প্রকাশ হয়েছে সেই বইয়ের ৩৩৭ পৃষ্ঠায় ২২ নম্বর ক্রমিকে কুখ্যাত রাজাকার হিসাবে আসামির নাম রয়েছে। যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত মান্নান খার বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০৩মে/প্রতিনিধি/ইএস)