মধুখালীর সাব-রেজিস্ট্রারের বদলি দাবি দলিল লেখকদের
দুর্নীতির অভিযোগ এনে ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রারের বদলি দাবি করেছেন দুই সপ্তাহ ধরে কলম বিরতি পালন করা দলিল লেখক সমিতি। তারা ঘোষণা দিয়েছে, সাব-রেজিস্ট্রারকে বদলি না করা অব্দি তারা কাজে যোগ দেবেন না।
বুধবার দুপুরে মধুখালী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির এক সংবাদ সম্মেলনে সাব-রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ওই ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে দলিল লেখকদের কর্মবিরতির কথা জানতে পেরে বুধবার মধুখালীতে আসেন ফরিদপুর জেলা রেজিস্ট্রার মো. মকবুল হোসেন খান। তিনি বলেন, ‘আমি সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব। অফিসের কারো গাফলতি থাকলে তারও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দলিল লেখকদের কলম বিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের রেজিস্ট্রি। ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন উপজেলায় এসে জমি কেনাবেচা করতে না পেরে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছে তারা।
জমি বিক্রি করতে আসা জহিরউদ্দিন মোলা, হাফিজ শেখসহ অনেকেই অভিযোগ করেন, ছেলেমেয়ে বিয়ে দেয়া, দেনা পরিশোধসহ নানা প্রয়োজনে জমি কেনাবেচা করতে হয়। সেই জমি রেজিস্ট্রি করতে দুই-তিন দিন এসেও যদি ফিরে যেতে হয়, তাহলে কষ্টের সীমা থাকে না।
মধুখালী উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মির্জা আবু জাফর বলেন, ‘বর্তমান সাব-রেজিস্ট্রার মধুখালীতে যোগদানের পর থেকে নানাভাবে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি জমি রেজিস্ট্রি করতে যেসব কাগজপত্র দরকার, তা আমরা উপস্থাপনের পরও আরো কাগজ লাগবে বলে দলিল লেখকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এই কারণে আমরা দলিল লেখা বন্ধ করে দিয়েছি।’ তিনি অভিযোগ করেন, প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রিতে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয় তাকে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মধুখালী উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো. সিফাতউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দিতে পারবে না। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তো অনেকেই অভিযোগ করতে পারেন।’ দলিল লেখকদের সঙ্গে তার কোনো বিরোধ হয়নি উল্লেখ করে সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, ‘তবে যেকোনো জমি রেজিস্ট্রির আগে অবশ্যই সরকারি সব নিয়মকানুন আমাকে মেনেই রেজিস্ট্রি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া তো অন্যায় না।’
(ঢাকাটাইমস/৩মে/মোআ)
মন্তব্য করুন