‘খাতার সঠিক মূল্যায়নে’ এসএসসিতে কমলো পাসের হার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ মে ২০১৭, ১৬:১২ | প্রকাশিত : ০৪ মে ২০১৭, ১০:২২

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার আগের বছরের তুলনায় কমেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সারাদেশে এবার পাস করেছে ৮০ শতাংশের কিছু বেশি। গত বছর যা ছিল ৮৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরেই পাসের হার কমেছে প্রায় আট শতাংশ। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, উত্তরপত্রের সঠিক মূল্যায়নের কারণেই এমনটি হয়েছে।

চলতি বছর কেবল পাসের হার কমেনি, কমেছে জিপিএ ফাইভ এর সংখ্যাও। চলতি বছর পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৭৬১ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তার কার্যালয়ে গিয়ে ফলাফল তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এরপর তিনি সেখানেই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, পাসের হার যে কমেছে সেটা খাতা মূল্যায়নের কারণে। তিনি বলেন, ‘আমরা গত তিন বছর ধরে যে খাতা মূল্যালয়ের পদ্ধতি চালু করেছি, সেটা্রই সাফল্য এটি। এখন থেকে শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনায় আরও মনযোগী হতে হবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার যে ফলাফল হয়েছে সেটাতে তারা বিস্মিত হচ্ছেন না, যে কেউ বিস্মিত হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাস্তব কাজগুলো তিন বছরের এই প্রচেষ্টার ফলাফল এটি, যে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে খাতা দেখে ফলাফল আনতে পারছি। এতে ছেলে মেয়েরা আরও সিরিয়াস হবে। খাতা দেখার জন্যও হবে শিক্ষকরাও, পড়াইতেও হবে এবং আমরা একটা সঠিক পথে আগাতে পারবো।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ফলাফলে কেউ যেন বিস্মিত না হন, এটা আমাদের জন্য স্বাভাবিক, আমরা ওই জায়গায় যেতে চেয়েছি যে সঠিক মূল্যায়ন করা।’

আগে খাতা দেখায় কী ধরনের সমস্যা হতো, তারও একটি বর্ণনা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা খারাপ পথে হাঁটছি বলে অনেকেই অভিযোগ করে। অভিযোগ করার পর খাতাগুলো নিয়ে আমরা দেখি অনেক তারতম্য রয়ে গেছে। আমরা তথ্য নিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখতে পেলাম যে, ২০ জন প্রধান পরীক্ষককে একই খাতা আমরা আলাদা আলাদা ফটোকপি করে দিয়েছি, তারা ২০ ধরনের নম্বর দিয়েছে। দুই জন এক সমান নম্বর দেন নাই। তাহলে বুঝেন আমাদের কত পার্থক্য ছিল।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা এক জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি, ট্রেনিং দিয়ে তথ্যগুলো বুঝিয়ে দিয়ে এবং ধরিয়ে দিয়ে। তার ফলে আমরা এই ফলাফলটা অনেক বেশি বাস্তবসম্মত হয়েছে এবং পরীক্ষার্থীদের সঠিক নম্বর তারা দিতে বাধ্য হয়েছেন।’

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, তিনি বলেন, ‘ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় মনযোগ এবং পরীক্ষায় ভাল করার আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও গত বছরের তুলনায় এই বছর একটু কম, সেটা মামনীয় শিক্ষামন্ত্রী ইতিমধ্যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এবার খাতা দেখার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, আমি মনে করি এটা অত্যন্ত সময়োগযোগী এবং এটার যথেষ্ট প্রয়োজনও আছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করার ক্ষেত্রে এবার পরীক্ষার খাতা দেখার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছে, সে জন্য আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি এটা সত্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজন ছিল। এর ফলে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আরেকটু সচেতন হবে বলে আমি বিশ্বাস করি এবং যেসব শিক্ষকরা শিক্ষাদান করছেন, তারাও এ ব্যাপারে আরও বেশি সচেতন হবেন। সেটাই আমাদের বিশ্বাস।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

মানসিকতার পরিবর্তন না হলে সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন কঠিন হয়ে যাবে: শিক্ষামন্ত্রী

বাংলাদেশে দূতাবাস খুলতে যাচ্ছে গ্রিস

ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার

যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাস করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিজারিয়ান প্রসবের ওপর বিধিনিষেধ আরোপে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

মিয়ানমার সংকট সমাধানে একজনের খুশির জন্য বাকিদের নারাজ করবে না বাংলাদেশ: সেনা প্রধান

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল ৪ টাকা, কমেছে খোলা তেলের

কর ব্যবস্থা সংস্কার করলে ১৫ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ছাড়তে উৎসাহিত হবে

অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের মানুষের জন্য কোনো কাজ করেনি: প্রধানমন্ত্রী

বৃষ্টিতেও কমছে না তাপপ্রবাহ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :