মির্জাপুরে যানজটে আটকেপড়া গাড়িতে ডাকাতি, আটক ২
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে যানজটে আটকাপড়া যানবাহনে গণডাকাতি হয়েছে। এসময় দুই ডাকাতকে আটকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জনতা।
বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস রেলস্টেশন সংযোগ সড়ক এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
আটকরা হলেন- দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন গ্রামের ছামছুল হকের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও মির্জাপুর উপজেলার বেগম দুল্যা গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে মোবারক হোসেন (৩০) ।
ডাকাত দল মুরগি ব্যবসায়ীর ৪ লাখ ও চাল ব্যবসায়ীর ২৯ হাজার টাকাসহ কমপক্ষে ৮টি যানবাহন থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লুটে নেয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয়।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে মহাসড়কের ধেরুয়া নাসির গ্লাসের সামনে দুইটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং উভয় পাশে প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
এদিকে মির্জাপুর বাইপাস রেল স্টেশন সংযোগ সড়ক এলাকায় মহাসড়কে যানজটে আটকাপড়া যানবাহনে সশস্ত্র অবস্থায় ৫/৬ সদস্যের ডাকাত দল হামলা চালিয়ে গণডাকাতি শুরু করে। ডাকাত দল দুটি ট্রাক থেকে মুরগি ব্যবসায়ীর ৪ লাখ এবং চাল ব্যবসায়ীর ২৯ হাজার টাকাসহ কমপক্ষে ৮টি গাড়িতে ডাকাতি করে প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটে নেয়।
এসময় আনোয়ার হোসেন ও মোবারক হোসেন নামে দুই ডাকাতকে জনতা দৌড়ে ধরে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। অন্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়।
আটক ডাকাত আনোয়ার ডাকাতির সাথে জড়িত ৪ ডাকাতের নাম বলেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তারা হলো লক্ষণ রাজবংশীর ছেলে ইন্দ্র মোহন রাজবংশী (২৮), হাজু সওদাগড়ের ছেলে আল রাজিম (২৮), জসিম সওদাগড়ের ছেলে মোতালেব (৩০) ও ছাত্তার সওদাগড়ের ছেলে নাঈম হোসেন (২০)।
তারা সকলেই উপজেলা সদরের সওদাগড় পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এরা সকলেই একাধিকবার আটক হয়ে হাজত বাস করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে মির্জাপুরের বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করে চলেছে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন বলেন, মির্জাপুর বাইপাসকে ঘিরে ডাকতের একটি দল রয়েছে। এদের একাধিকবার আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জামিনে বেড়িয়ে এসে আবার একই অপরাধ সংঘটিত করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৪মে/প্রতিনিধি/ইএস)
মন্তব্য করুন