স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো, লাঘব হলো ১৫ গ্রামের জনদুর্ভোগ

প্রকাশ | ০৫ মে ২০১৭, ১৫:৪৪

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার দক্ষিণ চেঁচরী জমাদ্দার হাট বড়ানী খালের ভাঙা ব্রিজের উপরে যুবকরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ফলে লাঘব হয়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ১৫ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ।

উপজেলার চেঁচরীরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী জমাদ্দার হাটের পার্শ্বের বাড়ানী খালের ব্রিজটি ২০০৭ সালের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ভেঙে যায়। দীর্ঘ ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুঁরি ছাড়া এলাকাবাসীর ভাগ্যে ব্রিজের দেখা মেলেনি। ব্রিজটির উত্তর পাড়ে বাজার। দুই পাড়ে ঘেঁষে রয়েছে দুটি প্রাথমিক ও দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটু দূরে রয়েছে আমুয়া শহীদ রাজা ডিগ্রী কলেজসহ কয়েকটি নামি-দামি প্রাথমিক-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজিয়েট স্কুল ও মাদ্রসা এবং আমুয়া বন্দর। এসব প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ১৫ গ্রামের লোকজন ও বাজারমুখি হাজার মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ভাঙা ব্রিজ অথবা খেয়া পারাপার হয়ে দৈনন্দিন কাজকর্ম করে যাচ্ছে। তাছাড়া এলাকার লোকজন উপজেলা সদর, আমুয়া বন্দর ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা ব্রিজ পেরিয়ে।

৭৪নং দক্ষিণ পূর্ব চেঁচরী জমাদ্দার হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম জানান, তিনি প্রধান শিক্ষক থাকাকালে নিজের খরচে এ ব্রিজের উপরে বাঁশের সাঁকো বহুবার দিয়েছেন। বর্তমানেও তিনি সুপারি গাছ ও বাঁশ দিয়ে সাহায্য করেন।

স্বেচ্ছাশ্রম দেয়া যুবক মো. হাবিব ঘরামি, মো. নাসির হাওলাদার, মো. আবুল সিকদার, মো. জামাল মিয়া, মো. মন্টু মিয়া ও সবুজ খরাতিসহ অনেকে বলেন- বাড়ানী খালের ব্রিজের দুই পাড়ের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসার কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয় যেতে পারেন এবং জমাদ্দার হাট বাজারের হাজার হাজার লোকজন যাতে সঠিক সময়ে জন্য এলাকা থেকে সুপারি গাছ ও বাঁশ কালেকশন করে স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রিজের উপর সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি।

স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি সদস্য রুজি বেগম জানান, এ বাড়ানী খালের ওপর স্থায়ী সেতু নির্মাণের মতো আর্থিক সক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। তাই জনদুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় যুবকদের সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ব্রিজের উপরে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। সাঁকো নির্মাণের ফলে এখন ১৫ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ অতি কম সময়ে উপজেলা সদরে ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যেতে পারবে।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/প্রতিনিধি/জেবি)