ভৈরবে বিদ্যুতের বিধ্বস্ত টাওয়ার মেরামতে লাগবে চার মাস
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহাম্মদ কায়কাওয়াস জানিয়েছেন, ঝড়ে বিধ্বস্ত আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ভৈরবের টাওয়ারটির মেরামত কাজ শেষ করতে চার মাসের মতো সময় লাগতে পারে। কোরিয়ান একটি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে টাওয়ারটি মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি বিধ্বস্ত টাওয়ারটি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু করেছে বলে জানান সচিব।
শুক্রবার দুপুরে ভৈরবের কালিপুর এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে বিধ্বস্ত টাওয়ারটি পরিদর্শন শেষে সচিব এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে বিদ্যুৎ সচিব জানান, টাওয়ারটি নির্মাণের সময় কোনো ত্রুটি ছিল না। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতীয় গ্রিডের এই সঞ্চালন লাইনের টাওয়ারগুলো দেশের সাধারণ ঝড়-তুফানকে হিসেবে রেখে নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বা টর্নেডোর গতিবেগ কী হবে, সেটাতো আগে থেকে নিরূপণ করা যায় না। টাওয়ারটি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট কারো কিছুই করার ছিল না।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে পাওয়ার গ্রিড কোং বাংলাদেশ-(পিজিসিবি) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুম আল বিরুণী বলেন, ‘বর্ষাকালের জন্য এই টাওয়ার মেরামত কাজের কোনো অসুবিধা হবে না।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘টাওয়ার মেরামতের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ঘোড়াশাল-সিরাজগঞ্জ সঞ্চালন লাইন দিয়ে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। এতে করে কিছুটা লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি হবে পারে ওই এলাকার গ্রাহকদের।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ডেভেলপমেন্ট কাজ চলছে। আগামী জুন মাস নাগাদ ভৈরব নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আসবে।
পরিদর্শনকালে পিজিসিবির নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী দেবাশিষ দাস, আশুগঞ্জ পাওয়ার কোং লি. (এপিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজ্জাদুর রহমান, ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহমেদ, বাংলাদেশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাফাত ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলামসহ বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ মে সোমবার দিবাগত রাতে ভৈরবসহ আশেপাশের এলাকা দিয়ে এক ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এ সময় আশুগঞ্জ-সিরাজগঞ্জ ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ভৈরবে অবস্থিত একটি টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়। এতে করে সিরাজগঞ্জসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি জেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। পরে বিকল্প গ্রিডলাইন ব্যবহার করে ওইসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হলেও, ভৈরবে বিধ্বস্ত টাওয়ারটির মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে না বলে জানায় বিদ্যুৎ বিভাগ।
(ঢাকাটাইমস/০৫মে/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন