পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের আঘাতে নিহত ১
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে সরোয়ার শেখ নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় নারীসহ আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের মধ্যেপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সরোয়ার শেখ মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়নের মধ্যেপুর গ্রামের আশরাফ শেখের ছেলে।
আহতরা হলেন- নিহতের সেজো ভাই আব্দুর রশিদ শেখ, মেজো ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা বেগম, ছেলে বাবু শেখ, ভাতিজা পলাশ শেখ ও কাইয়ুম শেখ।
নিহতের ভাতিজি মিমি আক্তার বলেন, শনিবার সকালে আমার সেজ চাচা আব্দুর রশিদ শেখ পাশের মিত্রডাঙ্গা গ্রামের প্রতিপক্ষ মামাতো ভাই জবান খানের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যান। পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জবান খানের কাছে পাওনা টাকা চেয়ে না পেয়ে আমার চাচা বাড়িতে ফিরে আসেন। এর কিছু পরে জবান খান ৭-৮ জনকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এসে প্রথমে সেজ চাচা রশিদের উপর হামলা শুরু করে। ওই হামলা ঠেকাতে আসলে তারা সবাইকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যান। এতে সবাই গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে আমার ছোট চাচা সরোয়ার শেখ মারা যান। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পোলেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. আমিনুর ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরে নিহতের মামাতো ভাই জবান খানের লোকজন সরোয়ার ও তার পরিবারের সদস্যদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এতে সরোয়ার শেখ নিহত হয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সরোয়ার শেখ মারা যান। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। আহত অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৬মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন