অবশেষে আমিন হুদা কারাগারে, জোসেফের প্রক্রিয়া চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০১৭, ২১:১২

অবশেষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ী আমিন হুদাকে। আজ রবিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে বারডেম হাসপাতাল থেকে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন কয়েদি হয়েও গত ১৮ মাস হাসপাতালে আয়েশি জীবন কাটান আমিন হুদা।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে চিকিৎসার নামে ২০ মাস ধরে অবস্থান করা কয়েদি তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে কারাগার কর্তৃপক্ষ।

দুজনকেই ব্যাক পেইনের কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাদের চিকিৎসা বছরে বছরেও শেষ হয় না। চিকিৎসার নামে তারা ভিভিআইপি মর্যাদায় আয়েশি জীবন কাটান হাসপাতালে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার জাহাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজ বিকালে আমিন হুদাকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে। আরেক কয়েদি জোসেফকে হাসপাতাল থেকে কারাগারে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এখনো তাকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। সেখানে কারা অধিদপ্তরের লোকজন রয়েছে।’

২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর আমিন হুদাকে গুলশানের একটি বাড়ি থেকে ৩০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে ১৩৮ বোতল মদ, এক লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি এবং ইয়াবা তৈরির যন্ত্র ও উপাদান উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলায় তার মোট ৭৯ বছরের সশ্রম কারাদন্ড হয়।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ২৬ নভেম্বর সাধারণ বন্দী হিসেবে আমিন হুদা বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন। এর থেকে আজ রবিবার বিকেল পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন তিনি।

শুধু তাণ্ডই নয় প্রায় সাত বছর ধরে তিনি বারডেমে আসাণ্ডযাওয়ার মধ্যেই আছেন বলে রবিবার একটি জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানে জানায যায়। এর আগে অ্যাপোলো, ইব্রাহিম কার্ডিয়াকসহ বড় বড় হাসপাতালে কাটিয়েছেন তিনি।

হাসপাতাল বাসিন্দা আরেক কয়েদি জোসেফ টানা ২০ মাস ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কারাকক্ষে আছেন। ২০১৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পিঠে ব্যথার কারণে তোফায়েল আহমেদ জোসেফকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তারপর থেকে তিনি হাসপাতালেই আছেন।

১৯৯৯ সালের একটি হত্যাকাণ্ডে তার মৃত্যুদণ্ড হয়। এই রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আপিল বিভাগ সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এখনো সাজা ভোগ করা বাকি আছে ২০ বছর ৯ মাস। তার সম্ভাব্য মুক্তির তারিখ ২০৩৯ সালের ২৪ জানুয়ারি।

১৯৯৬ সালের ৭ মে মোহাম্মদপুরে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান হত্যা মামলার আসামি ছিলেন জোসেফ। ২০০৪ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জোসেফের মৃত্যুাদণ্ডাদেশ দেন। পরে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জোসেফ। ২০০৭ সালের ২০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের রায়ে তার সাজা বহাল থাকে। এ ছাড়া অস্ত্র মামলায় তার ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৭মে/এএ/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :