দারিদ্র্যকে জয় করে দুই জেলে কন্যার জিপিএ ফাইভ
প্রকাশ | ০৮ মে ২০১৭, ১৬:৫৪ | আপডেট: ০৮ মে ২০১৭, ১৬:৫৮
দারিদ্র্যতাকে জয় করে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দুই জেলে পরিবারের মেয়ে। আর্থিক অভাবে ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ নিয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন তারা।
এদের একজন পলি সিকদার, অপরজন সুমা দত্ত। দুজনই ফরিদপুরের বোয়ালমারীর মেয়ে। তারা উপজেলার রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন।
পলি সিকদার: পলি চলতি বছর এসএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। অষ্টম শ্রেণিতেও বৃত্তি পেয়েছিলেন পলি। উপজেলার রুপাপাত গ্রামের জেলে প্রভাস সিকদারের মেয়ে তিনি। মা শিলা সিকদার, তিনি গৃহিনী।
ছোট একটি দো-চালা ঘরে তাদের পাঁচ সদস্যের পরিবার বসবাস করে। পলিরা তিন বোন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাজাহান শেখ জানান, পলি অত্যন্ত দরিদ্র- তবে মেধাবী। তার পড়াশোনার আগ্রহ দেখে স্কুলের পক্ষ থেকে তার পরীক্ষার ফিসহ বিভিন্ন বিষযে আর্থিক সহযোগিতা করা হতো।
পলি বলেন, ‘বাবা-মা ও শিক্ষকদের ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা আমাকে ভালো ফলাফল করতে সাহায্য করেছে। আমি তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। আমার স্বপ্ন ভবিষ্যতে আমি একজন ডাক্তার হব।’
সুমা দত্ত: সুমাও পলির মতো বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত বামন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি (বিজ্ঞান) পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। তিনি অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ ফাইভ ও ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি রুপাপাত গ্রামের হতদরিদ্র জেলে কর্ণ দত্তের মেয়ে। মা বাসন্তি দত্ত পরের বাড়িতে কাজ করেন। কোন রকম একটি দো-চালা ঘরে করে সুমাদের চার সদস্যের পরিবার বসবাস করেন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাজাহান শেখ জানান, ‘সুমা স্কুলে পড়ার সময় কোন টাকা পয়সা নেয়া হতো না। আমরা শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় সাহায্য সহযোগিতা করেছি।’
সুমা জানান, ‘শিক্ষকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও বাবা-মার ভালোবাসায় এ রেজাল্ট করতে পেরেছি। ভবিষ্যতে আমি প্রকৌশলী হতে চাই।’
(ঢাকাটাইমস/৮মে/প্রতিনিধি/এলএ)