জয়পুরহাটে বিএনপির কর্মিসভায় মারামারি, আহত ২০

শামীম কাদির, জয়পুরহাট থেকে
| আপডেট : ০৯ মে ২০১৭, ১৫:২৩ | প্রকাশিত : ০৯ মে ২০১৭, ১৫:০৩

জয়পুরহাটে বিএনপির কর্মিসভা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। আহতদের কয়েকজনকে জয়পুরহাট থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী, ছাত্রদল নেতা পাপনসহ কয়েকজন নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় স্থানীয় টাউন হল সম্মেলনকক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোজাহার আলী প্রধানের সমর্থকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা ও ফয়সল আলীম সমর্থকদের হট্টগোল বাঁধে। এক পর্যায়ে তা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশে চলছিল। এ সময় কয়েকজন হামলা চালায় এবং সভা পণ্ড করে দেয়। হামলাকারীরা বিএনপিকে ভালোবাসে না, তারা সন্ত্রাসের রাজনীতি করে।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জয়পুরহাটে বিএনপিকে ধ্বংস করেছে বিএনপি নামধারী কিছু গুণ্ডাপাণ্ডা। তারা বিএনপি করে না। জেলা বিএনপির কমিটিতে ত্যাগী নেতাদের স্থান হয়নি। যারা জামায়াতের সাথে আঁতাত করে আওয়ামীপন্থী রাজনীতি করে। এ কারণেই কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।’

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আরেক সদস্য সাবেক শহর বিএনপির সভাপতি ফয়সল আলীম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘জেলা কমিটিতে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বিরোধীদের স্থান হওয়ায় তৃণমূলে আগে থেকেই অসন্তোষ ছিল, আজ তা প্রকাশ পেয়েছে। নেতাকর্মীরা জেলা কমিটিতে সত্যিকারের বিএনপি করা নেতাদের দেখতে চান।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করার পর দলটির পদবঞ্চিতরা নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ দেখায়। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগুনও দেয়। এতে একটি পক্ষ মামলাও করে।

স্থানীয় কয়েকজন কর্মী সমর্থক জানান, বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং ও বিরোধ বহু পুরনো বিষয়। বারবারই এ গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটি সেই বিরোধ মেটাতে পারেনি বরং এবারের কমিটি ঘোষণার পর তা আরও জোরালো হয়েছে। মঙ্গলবারের এই বিরোধ ও সংঘর্ষের কারণে নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনেক আশা নিয়ে জয়পুরহাটে এসেছিলাম কিন্তু সেটা পূরণ হলো না। আমি শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাস করি। যারা তার আদর্শে বিশ্বাস করে না তারা সমাবেশে হামলা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে।;

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি শেষ হয়নি, কোনোদিন হবেও না।’ তিনি নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার এবং শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ মেনে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করার আহ্বান জানান।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :