শ্রমিকের মজুরি আর জোঁকের যন্ত্রণায় বিপাকে কৃষকরা
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় প্রয়োজনীয় কৃষি শ্রমিকের অভাবে চাষিরা তাদের জমির পাকা ধান কাটতে পারছেন না। বর্তমানে কৃষি শ্রমিকের মজুরি দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এখানে কৃষি শ্রমিকের মজুরি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা। তাও শ্রমিকরা বিকাল চারটার পর আর ধান কাটবে না বলে শর্ত জুড়ে দেন। এছাড়া জেলার বিভিন্ন বিলে ব্যাপক জোঁকের উপদ্রপ দেখা দিয়েছে। জোঁকের কামড়ের ভয়ে কৃষি শ্রমিকরা ধান কাটছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন ধানচাষিরা।
কটিয়াদীর রামদী গ্রামের কৃষক আকরাম আলী ঢাকাটাইমসকে জানান, অধিক মূল্য দিয়েও জমির ধান কাটতে পারছেন না। এছাড়া জেলার বিভিন্ন বাজারে বিভিন্ন কীটনাশক ওষুধ থাকলে জোঁক নিধনের কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশি নামিদামি বিভিন্ন কোম্পানি থাকলেও তারা জোঁক মারার ওষুধ এখন পর্যন্ত বাজারজাত করেনি।
কটিয়াদী উপজেলা কৃষি অফিসার হুমায়ু কবীর ঢাকাটা্মিসকে বলেন, ধান কাটার শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই কৃষকদের ধান কাটার যান্ত্রিক পদ্ধতির দিকে অগ্রসর হতে হবে। কৃষকদের সুবিধার্থে সরকার ভর্তুকির মাধ্যমে সহজ শর্তে ধান কাটার যন্ত্র দিচ্ছে এবং কৃষকদের উৎসাহ প্রদান করছে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১০মে/প্রতিনিধি/জেবি)
মন্তব্য করুন