‘আমাদের সময়েও গান নকল হত’

প্রকাশ | ১১ মে ২০১৭, ১২:৫৯ | আপডেট: ১১ মে ২০১৭, ১৩:১২

মাহমুদ উল্লাহ, ঢাকাটাইমস

অভিনয়ে ব্যস্ত আছেন সংগীতশিল্পী পার্থ বড়ুয়া। গানের পাশাপাশি নিজগুণে অভিনয় জগতেও প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন। আয়নাবাজি সিনেমায় অভিনয় করে তার জাত চিনিয়েছেন। অন্যদিকে পার্থের ব্যান্ড সোলসের অনেক বিখ্যাত গান রয়েছে যা এখনো মানুষের মুখে মুখে। ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা হয় এই গুণী শিল্পীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ।

ঈদের কোনো কাজ করছেন?
‘কাচবৃষ্টি’ নামে একটি শর্টফিল্মে অভিনয় করলাম। এটি এখন অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও ‘সকেট জাম্পার’ নামে এখন আরেকটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় শেষ করেছি। ঈদের জন্য হয়তো একটি নাটকে কাজ করতে পারি।
 
এখন কি নাটকের কাজ একটু কমিয়ে দিয়েছেন?
একদম বন্ধই করে দিয়েছি বলা চলে। ভাল স্ক্রিপ্ট না হলে নাটকে কাজ করছি না।

মাঝে বেশ কিছু নাটকের কাজ করেছিলেন
হ্যা, মাঝে অনেক গড়পড়তা নাটকে কাজ করেছিলাম। সেটা ঠিক হয়নি। অভিনয়ের সময়তো বোঝা যায় না কেমন হচ্ছে। নাটক এডিট হলে পরে বোঝা যায় কেমন হয়েছে। দেখা গেলো ডিরেক্টার তত ভাল না। স্টোরি টেলিং, মেকিং ভাল হয়নি। তাই এখন বেছে বেছে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 
 
শুধু কি এই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত। আপনার অভিনয় তো মানুষ পছন্দ করে
আমার কো-আর্টিস্ট তারিন, অপি বলল দুজনেই বলল, তুমি তো প্রফেশনাল অভিনেতা নও। তাহলে এত কাজ কেন করছো? আরও অনেকেই বলেছে এমন কথা। সবদিক ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি নাটকে আর পুরোপুরি কাজ করব না। গল্প স্ক্রিপ্ট পছন্দ না হলে করছিও না। তেমন আগের মতো অনেক কাজ আর কখনো করবোও না। আমি তো নাটকের প্রফেশনাল লোক নই। তাহলে কেন করবো? এটা আমার ভাল লাগার জায়গা। তাই ভাল কিছুই করতে চাই। আমার সঙ্গে গানে যারা কাজ করতো তারাও বলছে আপনি কি গান বাদ দিয়ে নাটকেই ঢুকে গেলেন নাকি। সব মিলিয়ে তাই এমন সিদ্ধান্ত। 

আচ্ছা, অনেকদিন আপনার নতুন গান বের হচ্ছে না। গানের কী খবর?
সামনে একটি বিষয়ভিত্তিক অ্যালবামের কাজ করলাম। নাম ‘মুখোশ’। আমি আর রানা মিলে করেছি। সেটি ঈদের আগে বা পরে মুক্তি পেতে পারে। এছাড়া সোলসেরও একটি অ্যালবামের পাঁচটি গান শেষ। ছয়টি গান নিয়ে অ্যালবামটি করছি ‘বন্ধু’ শিরোনামে। মুখোশোর পর বন্ধু ছাড়বো। 

গানগুলোর মিউজিক ভিডিও নিয়ে কিছু কি ভেবেছেন?
না। ডিরেক্টাররা মিউজিক ভিডিও বানাচ্ছে। তবে গান তো কানে শোনার বিষয়। চোখে দেখার না? সারা বিশ্বে মানুষ রেডিওতে গান শোনে। ক্লাবে গিয়ে গান শোনে। গান যদি ভালই না হয় তাহলে মিউজিক ভিডিও বানিয়েও কি কোন লাভ আছে? আগে তো গানটি ভাল হতে হবে। আমাদের সময়ে যে গান হতো তা কি মিউজিক ভিডিও দিয়ে জনপ্রিয় হয়েছে?

বর্তমান সময়ে গান কেমন হচ্ছে? 
অনেক ভাল গান হচ্ছে। কনার বর্ষা বা হাবীবের গান ছোট ছোট আশা তো খুব ভাল গান। ভাল গান হলে ১০ বছর পরেও থাকবে। না হলে ঝড়ে যাবে। গান ভাল বা খারাপ এটা বলা যাবে না। ১০ বছর পর যেসব গান মানুষ শুনবে সেগুলোই ভাল গান হিসেবে চিহ্নিত হবে।

এখন অনেক নকল গান হচ্ছে এনিয়ে নিয়ে আপনার মতামত কি?

আগেও নকল ছিল, এখনও আছে। এটা নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। 

সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনাকে ও ঢাকাটাইমসকেও অনেক ধন্যবাদ।

ঢাকাটাইমস/১১মে/এমইউ/এজেড