মাছ চাষে ভাগ্য পাল্টে গেছে ফরিদের

ইকরামুল আলম, ভোলা
 | প্রকাশিত : ১২ মে ২০১৭, ১৫:৩৯

শ্রমনিষ্ঠা আর সততা থাকলে কোন বাধাই পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যেমনটি পারেনি ভোলা সদর উপজেলার শেখ ফরিদের জীবনে। ছয় বছর আগে নিজের দুই লাখ ও ধার-দেনা করে মোট ছয় লাখ টাকা দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে এখন প্রায় অর্ধ কেটি টাকার মালিক। রয়েছে পানেরটি পান বরজ ও ছোট-বড় ১৫টি পুকুর।

ভোলা পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ডের শেখ ফরিদ ২০১১ সালে নিজের কাছে থাকা দুই লাখ ও ধার-দেনা করে মোট ছয় লাখ টাকা নেন। সে টাকা দিয়ে তিনি দশ বছরের জন্য ১৪টি পুকুর লগ্নি নেন। সে থেকে শুরু হয় তার পথ চলা। প্রথমে ১৪টি ও পরে একটিসহ মোট ১৫টি পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন। সাথে ৫০ শতাংশ জমিতে ২৬০টি পানের বরজ করেন। পুকুরগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করছেন। পানের বরজ ও পুকুরে দৈনিক গড়ে ৭-৮ জন লোক কাজ করে থাকেন। স্ত্রী ও তিন মেয়ে নিয়ে তার সুখের সংসার।

শেখ ফরিদ জানান, বরশি দিয়ে মাছ ধরা ছিল তার শখ। মানুষের পুকুরে মাছ ধরতেন প্রায়ই। একদিন চরফ্যাশনের এক লোকের পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝগড়া হয় পুকুর মালিকের সাথে। সে থেকে সংকল্প করেন পুকুরে মাছ চাষের।

এখন সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের নবীপুর এলাকায় তার ১৫টি মাছ চাষের পুকুর রয়েছে। ১৫টি পুকুরে কাতাল, মৃগেল, রুই, মিনার কাপ, তেলাপিয়া, পাঙ্গাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৩০ লাখ টাকার মাছ রয়েছে বলে জানান শেখ ফরিদ। মাছ চাষ করে নিজে ভাগ্য নুতন করে বদলে ফেললেন তিনি।

নিজে এসএসসি পর্যন্ত পড়ে এক বিষয়ে ফেল করে আর লেখাপড়া করেননি। নিজে বেশি লেখাপড়া করতে না পারলেও মেয়েদের শিক্ষিত করার চেষ্টা রয়েছে তার। বড় মেয়ে মেহেলী সিকদার ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। সে ৫ম শ্রেণিতে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে।

আরেক মেয়ে মাহি সিকদার ৩য় শ্রেণিতে পড়ে। ছোট মেয়ে মুনিয়া সিকদার বয়স ৮ মাস।

শেখ ফরিদ আরও জানান, তাকে দেখে এলাকার অনেকেই মাছ চাষ শুরু করেছেন। যদি তিনি সরকারি সহায়তা পান, তাহলে মাছ চাষ করে আরও লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :