‘জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়ন না করলে আমরাতো বসে থাকতে পারি না’

প্রকাশ | ১২ মে ২০১৭, ২০:৪২ | আপডেট: ১২ মে ২০১৭, ২৩:১২

জহির রায়হান ও মুজাহিদুল ইসলাম নাঈম, ঢাকাটাইমস

জনপ্রতিনিধিরা এলাকার উন্নয়নে কাজ না করলে আমরাতো আর বসে থাকতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকাটাইমস’ ও ‘এই সময়’ সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।

শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বারাশিয়া নদীতে একটি ব্রিজ নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনকালে বারাংকুলা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিদের উচিত এলাকার উন্নয়নে কাজ করা। কিন্তু তারা যদি তা না করে তাহলে আমরাতো আর বসে থাকতে পারি না। এখানে যখন ব্রিজ করার কথা বলা হয়েছে তখন অনেকেই বলেছেন এখানে ব্রিজ হলে হাতের তালুতে চুল গজাবে। আমি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলে এখানে ব্রিজের ব্যবস্থা করেছি। কিছু দিনের মধ্যেই ব্রিজের কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়ি পরিদর্শন করি। সেখানে গিয়ে দেখি বিদ্যুৎ নেই। আমি এর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করে এক মাসের মধ্যেই সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। সেখানে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাঠগারকে সমৃদ্ধ করতে বই দিয়েছি। আলফাডাঙ্গায় আরও দুটি ব্রিজ হবে। যার মধ্য আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী প্রবেশের ব্রিজটির কাজ শুরু হয়ে গেছে।  আলফাডাঙ্গা থেকে কাশিয়ানী প্রবেশের আরও একটি ব্রিজের কাজ শিগগির শুরু হবে। আমি যা বলি তা করে দেখাই।’

দোলন বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে আলফাডাঙ্গায় ৫০০ আসনের একটি অডিটোরিয়াম নির্মাণ হবে। কামারগ্রামের ৭০ কোটি ঢাকা ব্যয়ে একটি টেকনিকাল ট্রেনিং সেন্টার হচ্ছে। গোটা উপজেলায় উন্নয়নের চাদরে মুড়িয়ে দেয়া হবে। আর এজন্য শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজন। কারণ এ সরকার আছে বলেই আমরা এলাকায় এত উন্নয়ন পাচ্ছি। আর আমাদের এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেনেরও বিশেষ অবদান রয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে হলে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অন্য মতের কোনো সরকার ক্ষমতায় না আসতে পারে।’

বিশিষ্ট এই সমাজসেবক বলেন, ‘আগামীকাল কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে গোপালপুর বাজারের রুদ্র কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হবে। পর্যায়ক্রমে বোয়ালমারী ও মধুখালীতেও এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।’

দোলন বলেন, ‘এলাকার উন্নয়ন আমার মূল কথা, আমার পদের প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্ম যেন উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে পারে সে চেষ্টাই করছি আমি। উন্নয়নের জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ বলেন, ‘আরিফুর রহমান দোলন যে উন্নয়নমূলক কাজ করছে তা তিনি আপনাদের ভালোবাসায় করেছেন। হাতে তালি ও সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য নয়। বাংলাদেশের উন্নয়নের বরাদ্দ যেখানে হয় সেখানে তার একটি অবস্থান আছে। অনেক সময় জনপ্রতিনিধিরাও সেখানে যেতে পারে না। আমাদের কাজের মানুষ চিনতে হবে। আমরা আরিফুর রহমান দোলরে নেতৃত্বেই এলাকার উন্নয়ন চাই।’

বুড়াইছ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দোলন ভাই না হলে আমাদের এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা পেতাম না। আমরা চাই এ উন্নয়নের ধারা যেন সে ধরে রাখতে পারে এজন্য আমরা আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।’

বারাংকুলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও বুড়াইছ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব পান্নু মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মুজিবুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কুদ্দুস খান, আসিফ মাহমুদ শাহীন, মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১২মে/জেআর/এমআই/জেবি)