বিভাগের পর সিটি করপোরেশন হচ্ছে ফরিদপুরে
পদ্মা নামে ফরিদপুরকে অবিলম্বে বিভাগ করার ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তের পর ফরিদপুর পৌরসভার ব্যপ্তি বাড়িয়ে সিটি করপোরেশনও করা হবে। এই করপোরেশন হবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও আধুনিক সিটি করপোরেশন।
শনিবার ফরিদপুর নতুন বাসস্ট্যান্ডে ফরিদপুর মোটর ওয়াকার্স শ্রমিক ইউনিয়ন (১০৫৫) আয়োজিত মহান মে দিবস ও মৃত শ্রমিকদের চেক বিতরণ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিক বান্ধব সরকার, বর্তমান সরকার শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষা করে আইন প্রণয়ন করছে। মালিক-শ্রমিকের ক্ষতি হয় এমন কোনো আইন বা কর্মকাণ্ড সরকার করছে না।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র থেকে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ বেরিয়ে এসেছে। শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টির কারণে তা সম্ভব হয়েছে। গত দুই মেয়াদে আট বছরে আওয়ামী লীগ সরকারে উন্নয়নের সফল জনগণ ভোগ করছে।’
আওয়ামী লীগের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান খন্দকার মোশাররফ।
এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘যে স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু তার জীবন উৎসর্গ করে গিয়েছেন, সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে তাঁর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে কাজ করার মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়ে তুলতে হবে।’
শিশুদের সুশিক্ষাদানের মাধ্যমে ভবিষ্যতের জন্য যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অভিভাবক ও শিক্ষকদের সচেতন থাকার কথা বলেন মন্ত্রী।
মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অগ্রযাত্রা কোনো অপশক্তি থামাতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়ারও আহ্বান জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
আলোচনা সভায় সভাপতি ফরিদপুর মোটর ওয়াকার্স শ্রমিক ইউনিয়ন জুবায়ের জাকিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ মোল্লার সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, আওয়ামী যুবলীগ জেলা শাখার আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাস হোসেন, মোটর ওয়াকার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩০ জন নিহত শ্রমিকের পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকা তুলে এলজিআরডিমন্ত্রী।
ঢাকাটাইমস/১৩মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি
মন্তব্য করুন