প্রধানমন্ত্রী ও জয়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন

প্রকাশ | ১৩ মে ২০১৭, ১৮:৫৬ | আপডেট: ১৩ মে ২০১৭, ২২:৫০

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন  কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকাটাইমস সম্পাদক ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন।  

শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার গোপালপুরবাজারে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান দোলন এ কথা বলেন।

আজ থেকে কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রুদ্র কম্পিউটার সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালীতে এই কর্মসূচি চলবে।

ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং ঢাকাটাইমস ও সাপ্তাহিক এই সময় সম্পাদক সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আপনারা ইতিমধ্যে শুনেছেন আমরা তরুণদের উন্নয়নে ফরিদপুর-১ আসনের তিন উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি করতে যাচ্ছি। আলফাডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধু পাবলিক লাইব্রেরি, বোয়ালমারীতে শেখ রাসেল পাবলিক লাইব্রেরি ও মধুখালীতে ফজিলাতুন নেছা মুজিব পাবলিক লাইব্রেরি। কেন এই লাইব্রেরি? এখন কিন্তু শিক্ষার্থীরা , বেকার যুবকেরা অপেক্ষাকৃত কম বইমুখী। এটি কিন্তু হলে চলবে না। পাঠাগার গড়ে তোলা ও আরও বৃদ্ধি করা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও চান, তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও চান। পরবর্তী সময়ে আমরা ডিজিটাল লাইব্রেরিও গড়ে তুলবো -ইনশাআল্লাহ। ডিজিটাল বাংলাদেশ যদি গড়তে হয় তাহলে ডিজিটাল লাইব্রেরিও করতে হবে।

 

আরিফুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে কলেজ শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রতিটি ব্যাচে ২৫ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ পাবেন। বছরজুড়ে এই কর্মসূচি চলবে।’ শিগগির বোয়ালমারী ও মধুখালীতেও এই কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান তিনি।

দোলন বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে মাদকাসক্তি ও জঙ্গিবাদসহ সামাজিক অবক্ষয় থেকে ফেরাতে আমাদের এই প্রয়াস।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘আলফাডাঙ্গাকে বলা হয় আওয়ামী লীগের দুর্গ। খুবই সত্য কথা। শতভাগ সত্য কথা। শেখ হাসিনা এ এলাকাকে অনেক কিছুই দুই হাত উজাড় করে দিতে চান। আমাদের সেটি নিতে হবে। অতীতে আলফাডাঙ্গাকে শুধু ব্যবহার করা হয়েছে। যে সমস্ত জনপ্রতিনিধি আলফাডাঙ্গার মানুষের সমর্থন, সহযোগিতা, ভোট নিয়ে নিজ নিজ স্বার্থ হাসিল করে আলফাডাঙ্গাকে ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা করে রাখতে চেয়েছেন।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘কিন্তু আপনাদের খুশির কথা, সুখের কথা আপনাদের অভাব, অভিযোগ নেত্রীর কানে পৌঁছে দেয়ার বিকল্প ব্যবস্থাও এখন আছে। শুধু আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। আজকে এই অঞ্চলের উন্নয়ন হচ্ছে। কেউ কেউ নেতিবাচক প্রচারণা করে সেই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। কারণ, যদি সব হয়ে যায় তাহলেতো তথাকথিত নেতার দুয়ারে দুয়ারে আপনারা ঘুরবেন না।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘আমি মনে করি সারা বাংলাদেশে যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে তাতে এই অঞ্চল আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী এক নম্বরে থাকা উচিত। প্রত্যেকবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে এই অঞ্চলের মানুষ বিপুল ভোটে নির্বাচিত করেছে। তারপরেও কি আমরা উন্নয়নে পিছিয়ে থাকবো? বঞ্চিত থাকবো? থাকবো না। যদি থাকতাম তাহলে কিন্তু এখন যে উন্নয়নগুলো হচ্ছে তা হতো না।’

আরিফুর রহমান দোলন বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘কামারগ্রামে ৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার হচ্ছে। শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা। তিনি আমাদের অবকাঠামোগত যত সমস্যা আছে সব সমাধান করে দেবেন। এ নিশ্চয়তা তিনি দিয়েছেন। তিনি নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলেই এ অঞ্চলের জন্য বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্প পাস হয়েছে।’

এই সমাজ সেবক বলেন, ‘আমি শুধু এ অঞ্চলের সমস্যার কথা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছি মাত্র। আলফাডাঙ্গায় বারাশিয়া নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে। যেগুলো হলো, আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী প্রবেশ পথে একটি, বারাংকুলায় একটি। যার কাজ শুরু হয়েছে। মালা-কাশিয়ানী প্রবেশ পথে আরও একটি ব্রিজের কাজ কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এগুলো করে দিচ্ছেন। এসবের কথা আমি শুধু তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। এ এলাকার উন্নযনের জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে।’

ফাউন্ডেশনের মহাসচিব রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য শেখ শহীদুল ইসলাম, কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় নেতা শেখ শওকত আহমেদ, আওয়ামী লীগ মনোনীত গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইনামুল হাসান, রুদ্র কমিউটার সেন্টারের পরিচালক আসিফ মাহমুদ শাহীন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৩মে/প্রতিনিধি/জেডএ)