দুর্নীতি মামলায় আদালতে যাননি খালেদা, পরবর্তী শুনানি ২৩ মে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ শুনানি পিছিয়ে ২৩ মে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।
হাইকোর্ট থেকে আদালত পরিবর্তনের আদেশ দেওয়ায় সোমবার পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসার মাঠের অস্থায়ী আদালতের বিচারক মো. কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানির নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আজ খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আবেদন করেন খালেদা। এছাড়া হাইকোর্ট আদালত পরিবর্তনের আদেশ দেওয়ায় খালেদার পক্ষে আত্মপক্ষ শুনানি মুলতবির আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ২৩ মে আত্মপক্ষ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, মামলাটি এর আগে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ওই আদালতের ওপর খালেদা জিয়ার অনাস্থার আবেদন গত ৮ মার্চ হাইকোর্ট মঞ্জুর করে বর্তমান আদালতের ওপর বিচারের দায়িত্ব দেয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল এই আদালতের ওপরও অনাস্থ দেন খালেদা জিয়া।
অনাস্থার কারণে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তের সময় এই আদালতের বর্তমান বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলাটির তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। এ অভিযোগে গত ২৬ এপ্রিল হাইকোর্টে ফের আদালতে পরিবর্তনের আবেদন দাখিল করেন খালেদা। গত ১৪ মে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার ওই আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।
অরফানেজ মামলায় বলা হয়, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করা হয়।
২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
চার্জশিটের অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
ঢাকাটাইমস/১৫মে/আরজে/এমআর