খুলল মগবাজার ফ্লাইওভারের আরেক পথ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৭ মে ২০১৭, ১৮:৩৬ | প্রকাশিত : ১৭ মে ২০১৭, ১২:১১

রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে কারওয়ানবাজারের পথে যাওয়া গাড়িগুলোকে আর দুইবার ট্রেনের সিগন্যালে পড়তে হবে না। মূল সড়কের উপরে তৈরি করা মগবাজার ফ্লাইওভারের কারওয়ানবাজার অংশ খুলে দেয়া হয়েছে যান চলাচলের জন্য। ফলে কোথাও না থেমেই হলি ফ্যামিলি অংশের উড়াল সড়কে উঠে নেমে যাওয়া যাবে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে কারওয়ানবাজার অংশে।

বুধবার সকালে ব্যাপকভাবে আলোচিত মগবাজার ফ্লাইওভারের আরেক পথে যান চলাচল উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রথম ধাপে ২০১৬ সালের ৩০ মার্চ ফ্লাইওভারটির সাতরাস্তা থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল পর্যন্ত দুই দশমিক ১১ কিলোমিটার অংশ যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছিল। একই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় বাংলামোটর থেকে মৌচাক পর্যন্ত এবং মগবাজার থেকে মৌচাক পর্যন্ত সড়কের একাংশের চলাচল।

বাংলামোটর থেকে মৌচাক, শান্তিনগর, রাজারবাগ অংশের কাজও শেষেরদিকে।

রাজধানীর মগবাজার-মৌচাক-মালিবাগ-শান্তিনগর ও তেজগাঁওয়ের যানজট নিরসন ও অবাধ যান চলাচল নিশ্চিত করতে ২০১১ সালে মগবাজার মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। সে সময় ফ্লাইওভারের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের। তৃতীয় দফা সময় বাড়িয়ে বলা হচ্ছে চলতি বছরের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি মেগা এ প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে করা হয়েছে এক হাজার ২১৯ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মগবাজার, মৌচাকের বাকি অংশের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর ফলে রাজধানীর যানজট সমস্যা অনেকাংশেই নিরসন হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটির খরচ খুব একটা বেশি হয়নি। তিনি বলেন, ‘একনেকে যা অনুমোদন হয়েছে, সেই খরচের মধ্যেই এর কাজ শেষ হয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারীও। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের খরচ ও ডিজাইন নিয়ে নানা কথাবার্তা হয়েছে, এর সবই অপপ্রচার। এর ডিজাইনের কোনো ত্রুটি ছিল না। বাংলাদেশে এর চেয়ে কম খরচে কেউ এত বড় ফ্লাইওভার প্রকল্প করতে পারেনি।’

নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না করতে পারার ব্যাখ্যাও দেন এলজিআরডির প্রধান প্রকৌশলী। তিনি বলেন, ‘আমাদেরকেস্যুয়োরেজ লাইন, পানির লাইন, গ্যাস লাইনের যে নকশা দেয়া হয়েছে, বাস্তবের সঙ্গে এর কোনো মিল নেই।’

সব মিলিয়ে ৮ দশমিক ৭ কিলোমিটার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের চার লেনের এ ফ্লাইওভারে ওঠা-নামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র‌্যাম্প রাখা হয়েছে।

ভারতের সিমপ্লেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও নাভানার যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ‘সিমপ্লেক্স নাভানা জেভি’ এবং চীনা প্রতিষ্ঠান দ্য নাম্বার ফোর মেটালার্জিক্যাল কনস্ট্রাকশন ওভারসিজ কোম্পানি (এমসিসিসি) ও তমা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড এ ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায়।

ঢাকাটাইমস/১৭মে/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :