শ্রীপুরে বাবা-মেয়ে আত্মহত্যার জন্য নষ্ট রাজনীতি দায়ী

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ১৮ মে ২০১৭, ১৭:১৩
অ- অ+

২৯ এপ্রিল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর রেলস্টেশনের পশুহাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে পালিত মেয়ে আয়েশা আক্তারসহ বাবা হযরত আলী আত্মহত্যা করেন। মেয়েকে শ্লীলতাহানি, গরু চুরি যাওয়া, গবাদিপশু ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ায় প্রতিবেশিদের হামলার হুমকির বিচার না পাওয়ায় তিনি আত্মহত্যা করেন। তাদের বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামে। এ বিষয় নিয়ে গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদের মুখোমুখি হয়েছে ঢাকাটাইমস। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাকাটাইমসের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি শাহান সাহাবুদ্দিন। নিচে সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল।

ঢাকাটাইমস: বাবা মেয়ের একসঙ্গে ট্রেনে ঝাপ দেয়ার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

আবুল মুকসুদ: গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে কন্যাসহ বাবা আত্মহত্যার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এরকম ঘটনা এদেশের সমাজ ব্যবস্থায় প্রত্যন্ত এলাকায় অহরহ ঘটছে। সাধারণ এবং দুর্বলেরা রাষ্ট্রের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছে না। তাছাড়া আমাদের রাজনৈতিক অবস্থাটা স্বাভাবিক নেই, সুস্থ্য নেই, এতে গণতন্ত্র নেই, বর্তমানের রাজনীতি নষ্ট রাজনীতি। যে কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে।

ঢাকাটাইমস: এ ঘটনায় ব্যর্থতা কার? আবুল মুকসুদ: এ ধরনের জমি-জমা সংক্রান্ত ঘটনা বা বিরোধ স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা সালিশের মাধ্যমে মিটিয়ে দিতে পারেন। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। দুর্বলের পাশে দাাঁড়ানোর জন্য আমাদের প্রশাসন রয়েছে, পুলিশ প্রশাসন রয়েছে। তারাও ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না। অনেক সময় মামলাও নেন না। এ ঘটনা এখানে ঘটত না, যদি স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি, প্রশাসন ঠিকমতো কাজ করত, যদি পুলিশ বাহিনী ঠিকমতো কাজ করত।

ঢাকাটাইমস: এ থেকে প্রতিকার কিভাবে পাওয়া সম্ভব? আবুল মুকসুদ: নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। তারা কাজ না করলে সমাজে দুর্বলের নিরাপত্তা বিঘিœত হয়। এ কারণেই দুটি মানুষ জীবন দিয়ে প্রতিবাদ করে গেছেন। এটি বিচারহীনতার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে বিরাট প্রতিবাদ। যারা সরকারে থাকা তারা বড়লোক এবং ক্রিমিনালদের পক্ষে অবস্থান নেয়। তাছাড়া সমাজটাও এমন জায়গায় চলে গেছে দরিদ্রদের দিকে কেউ তাকায় না, বড়লোকদের দিকে তাকায়। রাষ্ট্রের দায়িত্বের পাশাপাশি জনগণকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত, লেখক, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মুকসুদ বুধবার দুপুর দেড়টায় তিনি কন্যাসহ বাবা আত্মহত্যার ঘটনায় কর্ণপুর সিটপাড়া গ্রামে ওই পরিবারের বেঁচে থাকা হালিমা বেগমের সাথে কথা বলেন ও তার খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি হালিমার পাশে থেকে সুবিচার প্রাপ্তিতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন। সৈয়দ মুকসুদের সফর সঙ্গী ছিলেন, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সিপিবি কাপাসিয়া উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুব ইউনিয়ন কাপাসিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক মঞ্জুরুল হক প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ
রয়েল ক্লাবের সভাপতি হলেন জহির রায়হান 
‘সবার আগে বাংলাদেশ’ আয়োজিত কনসার্ট-এর প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
উত্তরখানে বিপুল চোলাই মদসহ ম্যাক্সওয়েল গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা