টাঙ্গাইলে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে নুপুর নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতের কোন এক সময় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাথরাইলে। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ পাথরাইল থেকে এক কি.মি দূরে নলশোধা একটি কাপড় শোখানোর আড়ায় নুপুরের ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহতের মা হেনা বেগম জানান,গত তিন বছর আগে দেলদুয়ার সদর উপজেলার টুকচানপুর গ্রামের চান মিয়া ও হেনা বেগমের মেয়ে নুপুরের সাথে পাথরাইলের আশোক আলীর ছেলে শিমুলের সাথে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে একটি সন্তানও আসে। নুপুরের স্বামী শিমুল দুবাই থাকে। কয়েকদিন আগে ছুটি কাটিয়ে আনার দুবাই চলে গেছে। গত রাত দুইটার সময় নুপুরের শাশুড়ির ফোন পেয়ে জানতে পারে নুপুরকে পাওয়া যাচ্ছে না।
সকালে জানতে পারে নুপুর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
কিন্ত নিহত নুপুরের পরিবারের দাবি, তাকে মেরে পাশের গ্রামে রাতের কোন এক সময় বাসের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নুপুরের শাশুড়ি শিশির বেগম বলেন, গত রাতে শিরিন বেগমের সাথে একই বিছানায় শুয়েছিল। পাশের খাটে শিরিন বেগমের ভাগিনা টাঙ্গাইল সদরের কাতুলী গ্রামের মিথুন ও ভাতিজা রাব্বি নুপুরের শ্বশুর আশোক আলীর বিছানায় শুয়েছিল। রাত দুইটার সময় তারা নুপুরকে বিছানায় পায়নি। দরজা খোলা দেখতে পেয়ে নুপুরের বাড়িতে ফোনে জানান।
এদিকে একই ঘরে ১৮-১৯ বছরের দুজন যুবক আত্মীয় রাতে বাড়িতে থাকার পর সকাল থেকে তাদের বাড়ি থেকে চলে যাওয়ায় নুপুরের পরিবারে সন্দেহের তীর অনেকটাই আত্মীয়দ্বয়ের দিকে।
এদিকে বাড়ির পাশে এতো জায়গা থাকতে এক কি.মি. দূরে গাছের পরিবর্তে দুর্বল একটি এড়ায় ফাঁস নেয়াকে নুপুরের পরিবার থেকে আত্মহত্যার পরিবর্তে হত্যার অভিযোগ করেছেন।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নুপুরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর রহস্য।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন