রিকশাচালককে প্রধানমন্ত্রীর বখশিস
বছরের শুরুতে নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর ভ্যানে চড়ে গ্রাম দেখার খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।এবার নেত্রকোনায় ত্রাণ দিতে গিয়ে তার রিকশায় ঘোরার ঘটনাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দশ মিনিটের পথ রিকশায় চড়েন। খোদ প্রধানমন্ত্রী রিকশার যাত্রী এমন দৃশ্য দেখতে আশপাশে ভিড় করেছিল হাজারো মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ভ্যান চালিয়ে নায়ক বনে গিয়েছিলেন গোপালগঞ্জের ইমাম হোসেন। পরে তার বিমানবাহিনীতে চাকরিও হয়েছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী যখন তার ভ্যানে ছিলেন তখন লজ্জায় নিজের জন্য একটি চাকরির জন্য বলতে পারেননি ইমাম।
আর প্রধানমন্ত্রীকে এবার রিকশায় ঘুরিয়ে আলোচনায় আসা যুবকও একটি চাকরির আশা করছেন। তার নাম টিপু সুলতান। তার বাড়ি নেত্রকোনার দক্ষিণ বিশুহুরা এলাকায়।
বৃহস্পতিবার বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত নেত্রকোনা এলাকায় ত্রাণ বিরতণ করতে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নেত্রকোনার খালিয়াজুরী কলেজমাঠে নামার আগে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে করে দুর্গত পুরো এলাকা ঘুরে দেখেন। এরপর তিনি কলেজ মাঠে সুধী সমাবেশে ভাষণ শেষে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে তিনি খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে যান। সেখান থেকে রিকশায় চড়ে জেলা ডাকবাংলো পরিষদ পর্যন্ত যান। এতে ১০ মিনিটের মতো লাগে।
জানা গেছে, রিকশায় চড়ার পর প্রধানমন্ত্রী তার (টিপু সুলতান) নাম পরিচয় জানতে চান। পড়াশোনা কত দূর পর্যন্ত করেছেন খোঁজখবর নেন।
প্রধানমন্ত্রীকে টিপু সুলতান বলেন, তিনি নবম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বাবা-মাসহ (পাঁচ ভাই পাঁচ বোন) তার পরিবারের সদস্য ১২ জন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টিপু সুলতানকে তিন হাজার টাকা বখশিস দেন।
প্রধানমন্ত্রী রিকশায় ওঠায় টিপু সুলতান খুশি এমনটা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার যোগ্যতা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আমাকে যদি একটা চাকরি দেয় তাহলে আমার সংসারটা ভালো চলবে।’
রিকশাচালক টিপু সুলতান যে রিকশাটি চালিয়েছেন জেলা প্রশাসন সেটিসহ মোট তিনটি রিকশা এনেছিলেন। এর একটি রিকশায় টিপু সুলতান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে খালিয়াজুরী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বর থেকে ডাকবাংলো পরিষদ পর্যন্ত নিয়ে যান।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক মো. মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী দুটি রিকশা বিতরণ করেছেন। অন্য রিকশাটি টিপু সুলতানকে দেয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৮মে/বিইউ/জেডএ)
মন্তব্য করুন