যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস করা সেনা এখন নারী

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৭, ১৩:২৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথিপত্র উইকিলিকসকে দেয়ার অভিযোগে সাত বছর জেলে কাটিয়ে গত বুধবার মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মার্কিন সেনা চেলসি ম্যানিং। যিনি কারাগারে যাওয়ার সময় পরিচিত ছিলেন ব্র্যাডলি ম্যানিং নামে। খবর সিএনএনের।

সামরিক কারাগার থেকে বের হবার পর চেলসিয়া ম্যানিং গতকাল বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে তার প্রথম ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘এই যে আমি এখানে।’

২০১০ সালে গুপ্তচরবৃত্তি আইনের লঙ্ঘন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ৭ লাখেরও বেশি গোপন নথি, যুদ্ধক্ষেত্রের ভিডিও ও কূটনৈতিক বার্তা জুলিয়ান অ্যাসেঞ্জের উইকিলিকস ওয়েবসাইটকে দেয়ার কারণে ম্যানিং-এর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগ গঠন করা হয়। শত্রুপক্ষকে সাহায্য করার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় একই বছরের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক আদালত ম্যানিংকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর একদিনের মাথায় তিনি নিজেকে নারী বলে দাবি করেন এবং বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নাম নিয়ে কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সামরিক কারাগারে ম্যানিং-ই প্রথম হরমোন চিকিৎসা নেনে। গত বুধবার কারাগার থেকে মুক্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যানিং পুরুষদের জন্য নির্ধারিত একটি কারাগারেই ছিলেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত জানুয়ারিতে বিদায় নেয়ার আগে ম্যানিংয়ের সাজার মেয়াদ কমিয়ে সাত বছর করেন। এর ধারাবাহিকতায় ১৭ মে কারাগার থেকে মুক্তি পান যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর এক সময়ের ‘প্রাইভেট ফার্স্ট ক্লাস’ ম্যানিং।

পুরো সাজা খাটতে হলে ২০৪৫ সালের আগে মুক্ত জীবনে ফেরার সুযোগ হত না ২৯ বছর বয়সী এই তরুণের।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ম্যানিং-কে একজন ‘অকৃতজ্ঞ বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসআই)