ভিশন চুরির কুকর্ম করেছে বিএনপি: হাছান মাহমুদ

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৭, ১৫:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সাড়ে আট বছর আগে যে ভিশন জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছিল বিএনপি সেই ভিশন নকল করে আজ জনগণের সামনে তুলে ধরেছে। আওয়ামী লীগ যে ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে বিএনপি তা ২০৩০ সালে বাস্তবায়ন করতে চায়। এটাই শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার মধ্যে পার্থক্য।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জনাব ফখরুল কদিন আগে বলেছেন আওয়ামী লীগ তাদের ভিশন নিয়ে কুরচনা করছে, আমি বেগম খালেদা জিয়া ও ফখরুলকে বলবো তারা আওয়ামী লীগের ভিশন চুরি করে কুকর্ম করেছেন।’

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ৩৬তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মেধাহীন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি দল হিসেবে অনেক আগেই দেউলিয়া হয়েছিল কিন্তু সে দলটি মেধার দিক দিয়েও এখন দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় তাদের ২০৩০ ভিশনের দিকে তাকালে। তাদের ভিশনের পুরোটাই আওয়ামী লীগের সাড়ে আট বছর আগের ভিশনের হুবহু নকল। তাদের ভিশনে যেসব কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার অধিকাংশই বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আর বাকিটুকু ২০২১ এর মধ্যে বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। তাতেই প্রমাণ হয় বিএনপি মেধাহীনতায় ভুগছে বা মেধার দিক দিয়েও দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।’

শেখ হাসিনা জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান দেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গিয়েছেন। মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা তার বাবার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এই পথচলায় স্বাধীনতাবিরোধীরা বারবার তাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের মানুষের অধিকার আদায় হবে বলেই স্বাধীনতাবিরোধীদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলাফল হিসেবে দেশের নাগরিকের আজ ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হয়েছে। তারই প্রচেষ্টায় আজ বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।’

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি লায়ন চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামী লীগ নেতা মনোরঞ্জন ঘোষাল ও এম এ করিম।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/আইএইচ/জেবি)