খরচ বাঁচাতে একসঙ্গে দুই নির্বাচন দিতে চান মোদি

প্রকাশ | ১৯ মে ২০১৭, ১৫:৩৯ | আপডেট: ১৯ মে ২০১৭, ১৫:৪৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

নির্ধারিত ২০১৯ সালের আগেই লোকসভা ভেঙে সাধারণ নির্বাচন দিতে চাইছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের খরচ বাঁচাতে বিধানসভা ও লোকসভার নির্বাচন একসঙ্গে করার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, মোদি ২০১৮ সালের শেষে লোকসভা ভেঙে দিয়ে ভোট এগিয়ে আনতে চাইছেন। বেশ কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী তার এই ইচ্ছার কথা জানিয়েই থেমে থাকেননি।মোদি তাদের বলেছেন, দেশে আইন করে লোকসভার সঙ্গে সব রাজ্যে বিধানসভা ভোট করারও পরিকল্পনা রয়েছে তার। নির্বাচন কমিশন ও নীতি আয়োগের সঙ্গে কিছু দিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে।

সম্প্রতি নীতি আয়োগ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে এই ব্যবস্থা কার্যকর করা সম্ভব।

মোদি ওই মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চের মধ্যে বিজেপি রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে। এরপর যদি লোকসভা ও রাজ্যসভায় এ ব্যাপারে আইন পাশ করানো সম্ভব হয়, তা হলে ওই বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালের শেষে শীতকালে ভোট করা যাবে না কেন?

বসুন্ধরা রাজে, শিবরাজ সিংহ চৌহান, রমন সিংহের মতো বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করছেন না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী এর সমালোচনা করছেন।

মমতার বক্তব্য, যে রাজ্যগুলিতে সবে জিতে এসেছে কোনও দল, তারা কেন তাড়াহুড়ো করে ভোটে যাবে? এই বিষয়ে অবশ্য পাল্টা প্রস্তাব রেখেছেন মোদি।

তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওকে তিনি বলেছেন, উত্তরপ্রদেশ কিংবা পাঞ্জাবের মতো যে রাজ্যগুলিতে সদ্য ভোট হয়েছে, তাদের এক বছর ‘গ্রেস’ দেয়া যেতে পারে। অর্থাৎ সেখানে এক বছর পরে বিধানসভার ভোট হতে পারে। কিন্তু আসামের নেতাদের বক্তব্য, ‘গ্রেস’ বা অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে কীসের ভিত্তিতে?

মোদি যুক্তি দিয়েছেন, যেকোনো নতুন প্রস্তাব নিয়ে এগোতে গেলেই মতপার্থক্য হয়। শুরুতে ভয়, জড়তা থাকে। বাধা আসে। কিন্তু ভোট করাতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয় তা থেকে দেশকে বাঁচাতেই একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করা উচিত। খরচ বাঁচাতে একসঙ্গে ভোট করার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা যদিও অনেক দিন থেকেই চলেছে।

বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম এই প্রস্তাব দেন। আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদি একে বাস্তবায়িত করতে আদাজল খেয়ে নেমেছেন। দেশে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর সংখ্যা এখন অনেক। কিন্তু মোদি জানেন, একটি-দু’টি রাজ্যের বিরোধিতায় পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)’র মতো আইন কার্যকর করতে কত জটিলতা হচ্ছে। ফলে লোকসভা-বিধানসভাগুলির ভোট একসঙ্গে করাও যে সহজ ব্যাপার নয়— প্রধানমন্ত্রী তা ভালোভাবেই বুঝছেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯মে/এসআই)