জগন্নাথের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অ্যালামনাই পুনর্মিলনী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ মে ২০১৭, ১৪:২৩ | প্রকাশিত : ২০ মে ২০১৭, ২৩:০৪

আনন্দঘন পরিবেশে, নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অ্যালামনাই পুনর্মিলনী-২০১৭।

শনিবার দিনভর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের শতাধিক অ্যালামনাইদের নিয়ে এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথমবারের মতো এই পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সে কারণে অ্যালামইদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল।

বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সেলিম ভুঁইয়া।

উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান তার বক্তব্যে এই উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, অ্যালামনাইয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক বন্ধন তৈরি হয়। একে অপরকে সুখে দুঃখে কাছে পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এর মাধ্যমে অনেক সামাজিক কাজ করার সুযোগ আছে। গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

আগামী দিনে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অনেক দূর এগিয়ে যাবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য।

সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে বেলুন উড়িয়ে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন ড. আতিয়ার রহমান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেন।

অ্যালামনাইয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, কর্ম জীবনে বন্ধু পাওয়া যায় না, পাওয়া যায় প্রতিযোগিতা। বর্তমানে সেখানে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বিরাজ করছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বন্ধু পাওয়া যায়। এবং এই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার নয়।

অ্যালামনাইয়ের সদস্যদের কর্মজীবনে সফলতার জন্য নানা পরামর্শ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ। তিনি বলেন, যেখানে যে অবস্থায় থাকবে সেখানে সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করবে। শুধু তাই নয়, কর্মস্থল যেন হতাশার জায়গা না হয়। অনেক ত্যাগ স্বীকার করে হলেও কর্মস্থলকে আনন্দঘন করে রাখবে। কাজকে উপভোগ করবে। ব্যক্তি জীবনে সৎ থাকবে। পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। তাহলেই সফলতা ধরা দেবে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. আতিয়ার রহমান বলেন, আজকে আমাদের জন্য আনন্দের দিন। কারণ নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে প্রথম অ্যালামনাই পুনর্মিলনী করতে সক্ষম হয়েছে। সবার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই আয়োজন সফল করা সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, আশা করবো আগামী দিনে এই হৃদ্যতা ও সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এই অ্যাসোসিয়েশন বিভাগের উন্নয়ন, পরস্পর সহযোগিতা, গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীর কল্যাণে কাজ করাসহ নানা সামাজিক কল্যাণমূলক কাজ করতে সক্ষম হবে।

অনুষ্ঠানে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন, মাহমুদা খানম, অ্যালামনাই পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন, সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক মো. মিন্টু আলী বিশ্বাস , সহকারী অধ্যাপক আব্দুল মোমেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এছাড়া সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে অ্যালামনাইয়ের বেশ কয়েকজন সদস্য তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।

দিনব্যাপী এই আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র‌্যাফেল ড্রয়ের ব্যবস্থা ছিল। সবশেষ বিকালে চা চক্রের মধ্য দিয়ে পুনর্মিলনীর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

শিগগিরই অ্যালামনাইয়ের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০মে/বিইউ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :