ঘাটাইলে স্কুলছাত্র অপহৃত
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আসাদুর রহমান সৈকত (৯) নামে এক স্কুলছাত্র অপহৃত হয়েছে। অপহৃত ছাত্র ৩ নং জামুরিয়া ইউনিয়নের চানতারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শেণির ছাত্র।
এ ঘটনার পর অপরিচিত একটি মোবাইল ফোন থেকে তার মুক্তির জন্য দশ লাখ টাকার পণ দাবি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তার বাবা হানিফ উদ্দিন ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করেছেন।
অপহৃত ছাত্রের বাবা আবু হানিফ জানান, ১৮ মে প্রতিদিনের ন্যায় দুপুর ১২টার দিকে নিজ গ্রামের বাড়ি চানতার হতে চানতারা বিদ্যালয়ে যায়। স্কুল ছুটি হওয়ার পরেও সৈকত আর বাড়ি ফিরেনি।
যথাসময়ে সে বাড়ি ফিরে না আসায় তার স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও সন্ধান মিলেনি। এ দিকে সৈকতের মা আছিয়া বেগম জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার আ. আজিজ মিয়ার ছেলে আরিফ রাব্বানী প্রায় ৪-৫ বছর আগে দিনমজুরের কাজ করতে তাদের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে তাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে সে তাদের বাড়িতে আসত এবং বিভিন্ন খোঁজ-খবর নিত। সর্বশেষ শবেবরাতের দিন এসেছিল।
ঘটনার দিন সৈকত তার মার নিকট জানায়, আজ রাব্বানী ভাই আসবেন এবং সে আমাকে ঘাটাইল শহর থেকে একটি সুন্দর গিফ্ট কিনে দেবেন। আমাকে তাড়াতাড়ি গোসল করিয়ে দাও।
তার মা তাকে এ ব্যাপারে নিষেধ করেন। সে প্রতিদিনের ন্যায় নিজ বাড়ি থেকে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
মা আছিয়া বেগম আরো জানান, লোকমুখে শুনেছে- ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার আঃ আজিজ মিয়ার ছেলে আরিফ রাব্বানী ওই দিন সৈকতকে স্কুলে প্রবেশ করতে না দিয়ে তাকে চিপস্ ও ফলের জুস পান করিয়ে ঘাটাইল শহরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ রয়েছে।
গত ২০ মে অপহৃত সৈকতকে মুক্তির জন্য তার মার নিকট দশ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবী করেছে বলে তার মা জানান।
এ ব্যাপারে সৈকতের স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফিরোজা বেগম জানান, ঘটনার দিন সে অনুপস্থিত ছিল। নিখোঁজের সংবাদটি শোনে মর্মাহত হয়েছেন।
এ দিকে ছেলে নিখোঁজের ঘটনায় শনিবার ঘাটাইল থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলেটি উদ্ধারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন