কানের দুলে প্রাণ গেল শিশু আরিফার
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোশাগোপালপুর গ্রাম থেকে নিখোঁজের একদিন পর কুমার নদ থেকে আরিফা সুলতানা পায়েলের (৭) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত শিশুর পরিবারের দাবি, সোনার তৈরি কানের দুলের জন্যই আরিফাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
শিশুটির পরিবার ও পুলিশ জানায়, শনিবার আরিফা বাড়ির পাশে আহম্মদের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস মেলেনি। প্রতিবেশী আলিম মোল্লা রবিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে রাজ্জাক মোল্লার বাড়ির ঘাটসংলগ্ন কুমার নদে গোসল করতে যান। এ সময় তিনি নদের পানিতে এক জোড়া পা ভাসতে দেখে এলাকাবাসীকে খবর দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে তা আরিফার বলে শনাক্ত করা হয়।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে একই গ্রামের এক কিশোরীকে আটক করেছে পুলিশ।
বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কোষা গোপালপুর গ্রামের কুমার নদ থেকে আরিফার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত আরিফা ওই গ্রামের মাংসবিক্রেতা মো. নিজামউদ্দিনের মেয়ে। দুই ভাইবোনের মধ্যে ছোট আরিফা কোষা গোপালপুর মোয়াজ্জেম মিয়া দাখিল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
নিহত শিশুর মা সালেহা বেগম বলেন, আরিফার কানে আনুমানিক পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা মূল্যের সোনার তৈরি দুল ছিল। ওই দুল নেয়ার জন্য তাকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
আরিফার মামা আশরাফুল ইসলাম জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক কিশোরীকে পুলিশ আটক করেছে। ওই কিশোরী একটি মোবাইল ফোন কেনার জন্য আরিফার কানের দুল চুরি করেছে।
পরে তার নানির বাড়ি থেকে আরিফার কানের দুলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাজিমউদ্দিন আহমেদ, নিহত আরিফার মুখে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বিকালে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এক কিশোরীকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হয়েছে। ছোট একটি কানের দুলের জন্য জীবন দিতে হয়েছে সাত বছরের আরিফাকে। ওই দুলটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
(ঢাকাটাইমস/২১মে/প্রতিনিধি/এলএ)
মন্তব্য করুন