নরসিংদীতে খুনের দায়ে সাতজনের ফাঁসি

প্রকাশ | ২২ মে ২০১৭, ১৫:৩৬ | আপডেট: ২২ মে ২০১৭, ১৭:২৪

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদীর পলাশে হত্যার দায়ে সাত জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছে একটি আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তদের সবাই পলাতক। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে আসামিরা এক জনকে হত্যার পাশাপাশি তার সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

সোমবার দুপুরে জেলার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শাহীন উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আব্দুল গাফফার, মারফত আলী, শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া, আলেক মিয়া, রুপবান ও তোতা মিয়া।

ফাঁসির দণ্ড ছাড়াও আব্দুল গাফফার, শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়াকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় নজরুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম, নবিকুল মিয়া, মনির মিয়া, শহিদুল্লাহ, মিজানুর রহমান, রফিক, আক্তার, আলম, জাহাঙ্গীর, মোসলেহ উদ্দিন ও রাশিদা বেগম নামে ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট আসামিরা প্রথমে সামসুল হকের ছেলে জহিরল হককে রাস্তার আটক করে অপমান করে। জহিরুল বাড়ি গিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে তিনি তার ছেলেদের কাছে কৈফিয়ত চানতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। তখন সামসুল হকের স্ত্রী নূরজাহান বেগম ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।

এ সময় আসামিরা ছেলের সামনে সামসুল হককে কুপিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। প্রতিবাদ করায় আসামিরা জহিরুলকেও কুপিয়ে বাবার মতই পানিতে ফেলে দেয়।

এসময় চিৎকার শুনে নূর জাহান বেগম ঘটনাস্থলে যান। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা পিতা-পুত্রকে পানি থেকে উঠান। কিন্তু সামসুল হক ততক্ষণে মারা গেছেন। আর জহিরুল হককে হাসপাতালে ভর্তি করলে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

পরে নূরজাহান বেগম এই ঘটনায় মামলা করেন। আর আট বছর পর বিচারিক আদালতে রায় ঘোষণা করা হয়। আসামিদেরকে সাত দিনের মধ্যে আপিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২২মে/এমআর/ডব্লিউবি