মেয়ে হওয়ার ‘অপরাধে’ শিশুকে হত্যা করল বাবা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ মে ২০১৭, ১৭:৫৪ | প্রকাশিত : ২২ মে ২০১৭, ১৭:৫০

কন্যাশিশু হওয়ার পর থেকেই বাড়িতে টানা অশান্তি। মানসিক অবসাদে ভুগতে ভুগতে তিন বছরের শিশু মৌসুমীকে কারণে-অকারণে পেটাত তার বাবা রঘুনাথ সিংহ। আর স্ত্রী সন্ধ্যাকে বলত, ‘টানাটানির সংসারে ছেলে হলে রোজগার বাড়ত। মেয়ের বিয়ে দিতে অনেক টাকা লাগবে। এর থেকে ওকে গলা টিপে মেরে ফেলতে পারলে ভালো হতো।’

শনিবার রাতে সেই মেয়েকে যখন অচৈতন্য অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তার নরম গলায় দগদগে আঙুলের ছাপ। আনার একটু পরেই চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেছিলেন তাকে। কিন্তু রঘুনাথের মুখের কথা বিশ্বাস করেননি। সে বলেছিল, কীটনাশক খেয়ে ফেলেছে মেয়ে। গলার দাগটা দেখে সন্দেহ হওয়ায় রঘুনাথকে আটকে রেখে পুলিশদের খবর দেন চিকিৎসকরা।

পুলিশি জেরার মুখে রঘুনাথ স্বীকার করেন, মেয়ে হয়ে জন্মেছিল বলেই মৌসুমীকে মেরে ফেলেছে তিনি।

শনিবার রাতেই বেলিয়াবেড়া থানায় রঘুনাথের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী। পেটবিন্ধি পঞ্চায়েত এলাকার কলাবেড়িয়া গ্রামের দিনমজুর রঘুনাথের সঙ্গে সন্ধ্যার বিয়ে হয়েছিল বছর চারেক আগে। মেয়েকে গলা টিপে মেরে ফেলার কথা বলত প্রায়ই বলত রঘুনাথ। সন্ধ্যা তা পুলিশকে জানিয়েছেন।

সন্ধ্যার দাবি, শনিবার বিকালে কাজের জন্য বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন মেঝেতে পড়ে রয়েছে মৌসুমী। কী হয়েছে জানতে চাইলে স্বামী বলেছিল, মেয়ে কীটনাশক খেয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ছোটেন মা। সঙ্গে যায় রঘুনাথও। সেখানেই ফাঁস হয়ে যায় আসল ঘটনা।

ঝাড়গ্রামের এসপি অভিষেক গুপ্ত জানান, খুন ও তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে মামলা হয়েছে রঘুনাথের বিরুদ্ধে। রবিবার ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সঞ্জীব রায়ের এজলাসে তোলা হলে তার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

(ঢাকাটাইমস/২২মে/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :