সাড়ে তিনশো গান নিয়ে ব্যস্ত বুলবুল
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। সফল ও জনপ্রিয় গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। চারদিন ধরে ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত এই সুরস্রষ্টা। তারপরও তিনি থেমে নেই। স্টুডিওতে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন এই নিভৃতচারী শিল্পী। এরকম একটানা স্টুডিওতে কাজ করছেন প্রায় তিন বছর ধরে। বর্তমানে যে প্রজেক্টটিতে তিনি কাজ করছেন তা শেষ করতে সময় লাগবে আরও তিন বছর। এমনটাই বললেন এই গুণি শিল্পী।
ঢাকাটাইমসকে বুলবুল বলেন, একজন গীতিকারের প্রায় সাড়ে তিনশো গানের সংগীতায়োজন করছি আমি। রুনা লায়লা ও সাবিনা ইয়াসমিন ছাড়া দেশের প্রায় সব দেশবরেণ্য শিল্পীকে দিয়েই গান করাচ্ছি আমরা। সবাই এসে গান গেয়ে যান আমাদের স্টুডিওতে। ন্যান্সি, কনা থেকে সবাই। খুব শিগগিরই আমরা প্রজেক্টটি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানাবো। এখন গানগুলো আমরা ট্র্যাকসহ সার্ভারে আপলোড করছি। নুতন শিল্পীরা সেখান থেকে গান নিয়ে শিখতেও পারবে। সেখানে প্রায় ২২ লাখ ভিউয়ার্স রয়েছে। এটি বাণিজ্যের জন্য কিছু করছি না।’
কী ধরনের গান সেগুলো জানতে চাইলে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, ‘আমরা সব ধরনের গানই করছি। সব বিষয়ে তিনি গান লিখেছেন। সেটা ধরেন, কোরবানি ঈদ, রোজার ঈদ থেকে শুরু করে জন্মদিন বা যেকোনো বাস্তুববাদী বিষয়কে কেন্দ্র করেই গানগুলো তৈরি হয়েছে। এগুলো সবই বিষয়ভিত্তিক বাস্তজীবনের গান। যেখানে ধর্মীও গানও রয়েছে।
এই ধরনের শুধু একজনের লেখা গানই কেন আপনি তৈরি করছেন জানতে চাইলে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল বলেন, ‘দেখেন, এই সময়ে গানের শিল্পীদের অবস্থান ভালো না। গত তিন বছরে আমি তিনটি অ্যালবাম তৈরি করেছি। প্রত্যেকটিতে নয় লাখ টাকা করে খরচ হয়েছে। কিন্তু একটি টাকাও ফেরত পাইনি। যেখানে শিল্পীদের ভাল কোনো গান হচ্ছে না। গান ছেড়ে সবাই অন্য কোনো দিকে ঝুকছে সেক্ষেত্রে এই ধরনের কাজ করে আমি চলছি। মনের তাগিদেই কাজ করছি। এবং অবশ্যই ভাল মানের গান না হলে আমি কাজ করতাম না।’
গানগুলো কবে মুক্তি পাবে জানতে চাইলে প্রথতিযশা এই শিল্পী বলেন, ‘শিল্পীরা গান গেয়ে চলে গেলে পরে যদি সে অন্য কোথাও গানটি গায় তাহলে আমাদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। আমরা খুব শিগগিরই গানগুলো নিয়ে সবার সামনে হাজির হবো।’
এই যে এত বড় প্রজেক্ট করছেন, তাহলে এর বাইরে কি অন্য কোন কাজ করছেন না? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘হ্যা, করছি। জাজের কিছু কিছু গানের কাজ আমি করে দিচ্ছি। অন্যান্য কাজও করি।’
এভাবেই গানের ভূবনে ব্যস্ত রয়েছেন এই গানের পাখি। ধারণা করা হচ্ছে মাহবুব এ খালিদের লেখা গান নিয়েই তিনি কাজ করছেন।
(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এমইউ/জেডএ)