ঈদের পর বাড়তে পারে পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময়
ঈদের ছুটির পর দেশের উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেনের সময় ৩০ মিনিট বাড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সম্মতিতে রয়েছে। এখন শুধু চূড়ান্ত অনুমোদন বাকি।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঊর্ধতন কর্মকর্তারা বলেন, লেনদেনের সময় বাড়াতে দেশের দুই এক্সচেঞ্জসহ স্টেক হোল্ডারদের দাবি রয়েছে। তাছাড়া বিষয়টি বর্তমান প্রেক্ষাপটে যৌক্তিক। তাই দাবিটি কমিশনের সম্মতিতে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কমিশনের চেয়ারম্যান দেশে নেই। তিনি ফিরলেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
ডিএসই’র কর্মকর্তারা জানান, ঈদের ছুটির পর লেনদেন ৩০ মিনিট বাড়াতে চাওয়া হয়েছে। কমিশনেও বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। আশা করা হচ্ছে ঈদের ছুটির আগেই অনুমোদন পাওয়া যাবে। কমিশনের অনুমোদন পেলে লেনদেন চার ঘণ্টার স্থানে সাড়ে চার ঘণ্টা হবে। তারা জানান, দৈনন্দিন সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরুর আগে ১৫ মিনিট প্রি-ওপেনিং সেশন এবং লেনদেন শেষ হওয়ার পর ১৫ মিনিট পোস্ট- ক্লোজার সেশন।
ডিএসই জানায়, প্রি-ওপেনিং সেশনে বিনিয়োগকারীরা শুধু শেয়ার ক্রয় বা বিক্রয়ের আদেশ দিতে পারবেন। এ সময়ে লেনদেন সম্পন্ন হবে না। লেনদেন সম্পন্ন হবে পোস্ট-ক্লোজিং সেশনে। সেখানে শেয়ারের সমাপনী মূল্যে লেনদেন সম্পন্ন হবে। ৩০ মিনিট বাড়তি লেনদেনের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন হচ্ছে। ঈদের ছুটির আগেই প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে। সিএসই একই দাবি করেছে।
জানা যায়, ইন্ডিয়া স্টক এক্সচেঞ্জে ছয় ঘণ্টা লেনদেন হয়। অথচ বাংলাদেশে হয় চার ঘণ্টা।
এর আগে বিভিন্ন সভায় ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) লেনদেনের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এছাড়া সম্প্রতি ডিএসই এবং সিএসই লিখিত আকারে কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে। তাতে কমিশনের সম্মতিও রয়েছে। আর এতে পুঁজিবাজারে লেনদেন আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ডিএসইতে সর্বোচ্চ ২ হাজার ১৮০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওই দিন ডিএসই-তে প্রধান সূচক ছিল ৫৬৬৯ পয়েন্ট। অপরদিকে চলতি বছরে ডিএসই-তে সর্বনিম্ন ৪৫৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ২১ মে। ওই দিন ডিএসই’র প্রধান সূচক ছিল ৫৩৬৩ পয়েন্ট।
ঢাকাটাইমস/২৩মে/এমআর
মন্তব্য করুন