খুলনায় মেলার নামে বছরজুড়ে দখলে বিনোদনের স্থানগুলো

খুলনা ব্যুরো প্রধান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ মে ২০১৭, ১৫:১৮

খুলনায় বিনোদনের ও খেলাধুলার বিভিন্ন মাঠ এবং স্থান মেলার নামে বছরের অধিকাংশ সময় বরাদ্দ দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরাসহ ব্যবসায়ী মহল। দেড় মাস ধরে বাণিজ্য মেলার নামে খুলনার একমাত্র উন্মুক্ত সার্কিট হাউজ মাঠটি খেলাধুলা বন্ধ ছিল। সেই রেস কাটতে না কাটতেই নগরীর প্রাণকেন্দ্র শিববাড়ি মোড়ের পালিক হল সাবেক (জিয়া হল) প্রাঙ্গণটি মাসব্যাপী ঈদ মেলার নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

নগরীতে একটি চক্রের একের পর এক মেলা আয়োজনের কারণে সাধারণ ব্যাবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে দাবি ব্যবসায়ী সংগঠনের। মাসব্যাপী এই ঈদ আনন্দ মেলার বরাদ্দ বাতিল করার জন্য সিটি করপোরেশন এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সম্মিলিত ব্যবসায়ী সংগঠন সমন্বয় পরিষদের নেতারা। অন্যথায় ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে আন্দোলনের পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন, এমন হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছেন তারা।

খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, খুলনা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কখনো রাসেল আহমেদ ওরফে মেলা রাসেলের চ্যামেলী ট্রেডার্স, একজন যুবলীগ নেতার নিয়ন্ত্রণে আহত মুক্তিযোদ্ধা বহুমুখি সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে মেলা বরাদ্দ নেয়া হয়। পাবলিক হলে এ মেলা চলাকালীন ইতিপূর্বে সন্ধ্যার পরে বেশ কিছু ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। মেলা প্রাঙ্গণকে ঘিরে নগরীর বিভিন্ন এলাকার অপরাধীদের আড্ডাস্থলে পরিণত হয়। তাছাড়া বিকাল গড়াতেই শিববাড়ি মোড় এলাকায় মেলার কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

এসব মেলা বন্ধের জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনের মহাসচিব এস এম ওবায়দুল্লাহ স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, নগরীর পাবলিক হল প্রাঙ্গণে সম্প্রতি ঈদ মেলার নামে মূলত বাণিজ্য মেলা শুরু হয়েছে। ইতোপূর্বে একই স্থানে বৈশাখী, বিজয় ও আনন্দ মেলা নামে বিভিন্ন মেলা করা হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে সিটি করপোরেশনকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা ওই স্থানটি বাণিজ্যের মাধ্যমে মেলার জন্য বরাদ্দ দিয়ে যাচ্ছে। এতে খুলনা অঞ্চলের হাজার হাজার ব্যবসায়ীর প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অথচ এই সাধারণ ব্যবসায়ীরাই কি-না বছরজুড়ে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে স্থায়ীভাবে ব্যবসা করছেন, মাস শেষে গুণছেন দোকান ভাড়া ও কর্মচারীদের বেতন, সরকারকে দিচ্ছেন সবধরনের আয়কর ও ভ্যাট এবং সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত প্রদান করছেন ট্রেড লাইসেন্স ফি, হোল্ডিং ট্যাক্স ও সাইনবোর্ড ফি। যারা বিভিন্ন নামে এসব বাণিজ্য মেলা আয়োজন করছেন, তারা সরকার কিংবা সিটি করপোরেশনের কোনো রকম রাজস্ব আওতায় পড়ছে না। বিবৃতিতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির দিক বিবেচনায় মেলা বরাদ্দ বাতিলের অনুরোধ করা হয়।

বিবৃতিদাতারা হলেন মো. আসাদুজ্জামান সেলিম, সাবেক এমপি আলহাজ্ব আ. গফফার বিশ্বাস, সৈয়দ মাসুদ আলী নিলু, কাজী ফেরদৌস হোসেন তোতা, শ্যামল কুমার হালদার, এমএ মতিন পান্না, এসএম ওবায়দুল্লাহ, মো. তোফায়েল হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. কামরুল ইসলাম, দিদারুল আলম বাচ্চু, মো. আ. সাত্তার মাস্টার, চম মুজিবর রহমান, মো. এনায়েত হোসেন, শেখ আ. ইকবাল তুহিন, মো. মাসুদুর রহমান গোরা, মো. ইসলাম খান, মো. মনিরুল ইসলাম মাছুম, মো. আবুল হাসান, মো. সামছুর রহমান, গোলাম মোস্তফা দুলাল, নুরুল ইসলাম মামুন, মো. আব্দুস সালাম, এনায়েত কবির ডন, মাহফুজুর রহমান বাবলু, আবু জাফর মোল্লা, আ. রাজ্জাক ভূঁইয়া, মোজাফফার মোল্লা, চাঁন শরিফ, কাজী ইমামুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, হুমায়ুন কবির বাবু, মো. জাহিদ হোসেন উজ্জ্বল, মো. মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এসএএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :