ময়মনসিংহে ইমাম হত্যা চেষ্টা রহস্য উদঘাটন
ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ইমাম হত্যা চেষ্টার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
লিখিত কাগজে এসপি তার বক্তব্যে বলেন, ভিকটিম ইমাম মোস্তাফিজুর রহমান খানপুর আহামদীয়া মুসলিম জামাত সংলগ্ন বাড়িতে বসবাস করে দীর্ঘদিন যাবত ইমামতি করছিলেন। গত ৮ মে সোমবার রাতে তিনজন মুসুল্লিবেশী দুর্বৃত্ত (কাদিয়ানী মতাদর্শ ঘৃণাকারী) মসজিদের ইমাম এর সাথে দেখা করতে আসেন। ইমাম মসজিদের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সোলারের লাইট জ্বালানোর জন্য সুইচের দিকে হাত বাড়াতেই পেছন দিক থেকে ধারালো অস্ত্রে এলাপাতাড়িভাবে আঘাত করে ওই তিন যুবক।
পরে বাইরে ইমারের সাথে ধস্তাধস্তির মাঝেই অন্ধকারে আসামি আব্দুল আহাদ ওরফে মোহাম্মদুল্লাকে আটক করা হয়। পরে উভয়কে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, এবিষয়ে মামলা হলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত শুরু করে। গত ২২ মে গুপ্তচর ও তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে জহিরুলকে সিলেটের কদমতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তাররা পুলিশকে জানিয়েছে, কাদিয়ানী মতাদর্শ ঘৃণাকারী আসামি আব্দুল আহাদ, জহিরুল ও ইলিয়াছ মসজিদের ভেতর ডিস লাাইনসহ টেলিভিশনের ব্যবহার এবং অর্থের বিনিময়ে মানুষকে কাদিয়ানি বানাচ্ছে এই সংবাদ জানার পর তারা ঈমানী দায়িত্বের কারণে ইমামকে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করে।
এর বাস্তবায়নে আহাদ ৭ মে মাগরিবের নামাজের পর জহিরুল এর নিকট থেকে ২শ’ টাকা ধার নিয়ে দা বানাতে দেয়। দা পাওয়ায় বিলম্ব হওয়ায় ৮ মে চাকু ও কুড়াল নিয়ে ঘটনা ঘটায়। আসামি ইলিয়াসকে গ্রেপ্তারের জোড় চেষ্টা চলছে বলেও জানান এসপি।
(ঢাকাটাইমস/২৩মে/প্রতিনিধি/ইএস)