রোহিঙ্গাদের বাদ দিয়ে মিয়ানমারে শান্তি সম্মেলন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৪ মে ২০১৭, ১৬:১৪ | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০১৭, ১৬:০৬

মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে গত পাঁচ দশক ধরে যে গৃহযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি চলছে, সে অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশটিতে শান্তি আলোচনা শুরু হয়েছে। খবর বিবিসির।

মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর শত শত প্রতিনিধি সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার জন্য রাজধানী নেপিডোতে জড়ো হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ সম্মেলনে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ এবং নির্যাতনের কারণে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের বাড়ি-ঘর থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

কিন্তু বুধবার থেকে শুরু হওয়া শান্তি সম্মেলনে তাদের ডাকা হয়নি এবং এই বিষয়টি নিয়ে কোন আলোচনাও হবে না।

এ সম্মেলনে যেসব বিদ্রোহী গোষ্ঠী যোগ দিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো - কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এবং আরাকান আর্মি।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দেশজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা তার প্রধান লক্ষ্য হবে। কিন্তু তার দল ক্ষমতাসীন হবার পরে উল্টো সহিংসতা বেড়েছে।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতি-গোষ্ঠি মিয়ানমারে অধিকতর স্বায়ত্তশাসন চায় এবং দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর তাদের অশিংদারিত্ব পেতে আগ্রহী। কিন্তু মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বরাবরই সেটি উপেক্ষা করেছে।

মিয়ানমারের সবচেয়ে সক্রিয় বিদ্রোহী গ্রুপ নর্দান অ্যালায়েন্স শেষ পর্যন্ত এ আলোচনায় যোগ দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে চীনের হস্তক্ষেপের কারণে এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী সম্মেলনে আসতে রাজি হয়েছে।

সম্মেলনে সু চি বলেন, ক্ষমতায় আসার পর তারা শান্তি প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেটির ফলাফল এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মধ্যকার সংঘাতের কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে না। সেসব অঞ্চলের মানুষ দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছে।

ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর মানুষজন বলছেন, সু চি তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনছেন না । বরং তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন।

সু চি চেষ্টা করছেন যাতে এসব জাতি গোষ্ঠীর সঙ্গে সরকার একটি শান্তি চুক্তি করতে পারে। কিন্তু এ সম্মেলনে সেটি হবার কোন আশা নেই।

তবে মিয়ানমারের স্বাধীনতার লাভের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরুর বিষয়টিকে অনেক বিশ্লেষক ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।

১৯৮০'র দশক থেকে মিয়ানমারের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে সহিংসতা চরম আকার ধারণ করেছে।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সংঘাতের কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে। অনেকে সীমান্তের অপর পাশে চীনে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের সম্মেলনকে সফল বলা যায় না।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/এসআই)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

শেষ মুহূর্তে ভারত সফর স্থগিত করলেন এলন মাস্ক

ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন আদালতের বাইরে নিজের গায়ে আগুন দিলেন যুবক

ইরান-ইসরায়েল দুপক্ষই মিথ্যাচার করছে: এরদোয়ান

ইসরায়েলকে ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ের’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের

প্যারিসে ইরানি কনস্যুলেটে বিস্ফোরক আতঙ্ক, সন্দেহভাজন আটক

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ শেষ 

ইরানে হামলায় অংশ নেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনই প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই: ইরানি কর্মকর্তা

ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনায় বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়ার প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :