জগন্নাথে ১৩তম আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা

জবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ মে ২০১৭, ১৬:৪৩

‘বিতর্কে শাণিত চৈতন্য’ এই স্লোগানকে ধারণ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ডিবেটিং সোসাইটির উদ্যোগে ১৩তম আন্তঃবিভাগীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চ্যাম্পিয়ান হয়েছে ডিবেট হাউস অব পাবলিক অ্যাডমিস্ট্রেশন এবং রানার্স আপ হয়েছে নৃবিজ্ঞান ডিবেটিং ক্লাব।

বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন শোয়ায়েব আহমেদ (আইন বিভাগ), শ্রেষ্ঠ কর্মী নির্বাচিত হয়েছেন সাবিক তাহমিদ (ইসলামিক স্টাডিস) এবং ফাইনালে শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক নির্বাচিত হয়েছেন মো. মাহিদুল ইসলাম (লোকপ্রশাসন বিভাগ)। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘ডিবেটিং সোসাইটির কার্যক্রম শুধু কিছু আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার নিয়ে আসার মাঝে সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে এটির অনুশীলন করতে হবে। মানুষ এবং জড় পদার্থের মূল পার্থক্য মানুষ চিন্তা করতে পারে। আর চিন্তা চেতনার মধ্য দিয়ে তর্ক-বিতর্কের আবির্ভাব।’

ভিসি বলেন, ‘বিতর্ক এক ধরনের শিল্প। অতীতেও আমাদের উপমহাদেশে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিতর্ক প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা ছিল। ধর্মীয় বিবি-বিধানের মধ্যেও তর্ক-বিতর্কের মধ্য দিয়ে সত্য যাচাই করা হয়ে থাকে। বিতর্কের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এর উপসংহার বের করা আর এটাই হচ্ছে বিতর্কের সার্থকতা।’

বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তথ্যসমৃদ্ধ বিতর্ক প্রতিযোগিতা চর্চার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শাকিল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সবুজ রায়হানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, ডিবেটিং সোসাইটির মডারেটর মো. নজরুল ইসলাম এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।

জানা যায়, দীর্ঘ দুই বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ডিবেটিং সোসাইটির ১৫ সদস্যের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মাসে। আর এতে সভাপতি পদে আইন বিভাগের (৭ম ব্যাচ) শাকিল আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক পদে রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের (৮ম ব্যাচ) সবুজ রায়হান নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে ২০১৫ সালের প্রথম দিকে ডিবেটিং সোসাইটির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে সভাপতি ওমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় নির্বাচনের কিছুদিন পর সেই কমিটির মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে ডিবেটিং সোসাইটি বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘ দুই বছর ডিবেটিং সোসাইটি বন্ধ থাকায় নতুন করে কমিটি দেয়া সম্ভব হয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। তবে ডিবেটিং সোসাইটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি বিভাগে ডিবেটিং ক্লাব গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত গঠিত বিভাগীয় ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ভোটের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব পেয়েছে জবি ডিবেটিং সোসাইটি।

প্রসঙ্গত, ১৭ ও ১৮ মে দুই দিনব্যাপী বিতর্ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি বিভাগের ৩৪টি দল এ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৪মে/আইএইচ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :