চিরিরবন্দরে ফুটেছে বর্ষার দূত কদম ফুল

মোহাম্মদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর)
 | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০১৭, ০৮:২৭

ঋতু পরিক্রমায় বাংলাদেশে বর্ষা শুরু হতে এখনো দুই সপ্তাহের বেশি সময় বাকি। তবে বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে ফুটতে শুরু করেছে ‘বর্ষার দূত’ কদম ফুল। হলুদ-সাদার সংমিশ্রণে পেলব আকৃতির এই ফুল এখন শোভা পাচ্ছে চিরিরবন্দরের গাছে গাছে।

বাঙালির নিজের ঋতু বর্ষা নিয়ে রচিত হয়েছে অনেক গান-কবিতা। তাতে এসেছে অপরূপ কদম ফুলের কথাও। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, ‘বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান/আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান।’

আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস নিয়ে বাংলার বর্ষাকাল। বর্ষার শুরুতে রাজত্ব করে কদমের সুবাস। তারপর ঝরঝর বাদর দিন।

প্রতিবছর বর্ষার আগামনী বার্তা নিয়ে বর্ষা ঋতুর প্রথম মাস আষাঢ়ের আগেই ফোটে কদম ফুল। বর্ষার বিরামহীন বর্ষণের কথা মনে করে দিয়ে শাখে শাখে সবুজ পাতার আড়ালে তাই হলুদ-সাদার হাসি।

বাড়ির পাশের ঝোপঝাড়ে গজিয়ে ওঠা বনবৃক্ষ কদমের গাছে ফুটে ওঠা ফুলের সুগন্ধে লোকালয় জেগেছে বর্ষার ভালোবাসায়। কদম ফুলের সতেজ সৌন্দর্য প্রতিটি বাঙালির মনে সৃষ্টি করে এক ভিন্ন অনুভূতি।

কিন্তু বাঙালির ভালোবাসার এই নিজের ফুলটি এখন প্রকৃতিতে দেখা মেলে খুব কম। ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে এই অপরূপ সৌন্দর্যের প্রতীক কদমগাছ। লাভের অঙ্কের হিসাব মেলাতে মানুষ আর বাড়ির আঙিনায় কদম ফুলের গাছ লাগাতে চায় না। মেহগনিসহ বিভিন্ন দামি কাঠের গাছ রোপণে ঝুঁকছে তারা। তবে চিরিরবন্দরের বিভিন্ন জনপদে এখনো অসংখ্য কদম ফুল গাছ টিকে রয়েছে।

আদিকাল থেকে কদম ফুল আমাদের প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে আসছে। কদম ফুল ছাড়া বর্ষা যেন একেবারে বেমানান। প্রকৃতির এই ঐতিহ্য রক্ষায় সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে অন্য গাছের পাশাপাশি কদম গাছ রোপণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রকৃতিপ্রেমীরা।

(ঢাকাটাইমস/২৫মে/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :