গরমে এসি বিক্রির ধুম

পরিতোষ আচার্য, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০১৭, ০৮:৫০

গ্রীষ্মের দ্বিতীয় মাস জৈষ্ঠ্যে গরমের দৌর্দণ্ড প্রতাপ। তাপমাত্রা বাড়ছে প্রায় প্রতিদিন। গাছপালা, খোলা জায়গা আর জলাশয়হীন ঢাকায় ৩৭ বা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করা কঠিন। ঘরের ভেতর স্বস্তি মিলবে-সে দুরাশা আর কেউ করে না। তাই সামর্থ্যবানরা ঝুঁকছেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের দিকে। বিদ্যুৎ খরচ যাই হোক, রাতটা অন্তত আরামে বিশ্রাম নিয়ে দিনের ধকল কাটানো যাবে।

রাজধানীতে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্টেডিয়াম মার্কেট। স্টেডিয়াম মার্কেটে অন্তত ১৭ টা দোকান রয়েছে যারা অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এসিও রাখেন। এখানকার দোকানগুলোতে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ব্রান্ড এবং নন ব্রান্ডের পণ্যটি।

গরম চরমে বলে ক্রেতাদের উপস্থিতিও বেশ ভালো প্রায় প্রতিটি দোকানেই। অন্য কিছু নয়, শুধুমাত্র এসি বিক্রি করে এমন দোকানও আছে বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল স্টেডিয়াম মার্কেটে।

এসি বাজার ইন্ডাস্ট্রিজ নামের এ দোকানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের, বিভিন্ন ধরনের এসি পাওয়া যায়। দোকানটির ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরিফ খান জানান, ‘আমাদের কাছে বিভিন্ন ব্রান্ডের এসি রয়েছে ক্রেতাদের চাহিদা অনু্যায়ী আমরা সেগুলো বিক্রি করে থাকি।’

দাম কেমন?-জানতে চাইলে আরিফ খান বলেন, ‘আমদের কাছে সিগু (CHIGO), জেনারেল (General), এলজি (LG) এর বিভিন্ন মাপের এসি আছে। ব্র্যান্ড ও কার্যক্ষমতা ভেদে দাম শুরু চল্লিশ হাজার থেকে, দেড় লাখ টাকার মধ্যে।

আরিফ লাক বলেন, ‘এসিতে দুই বছরের ওয়্যারেন্টি দিই আমরা।’ এই গরমে চাহিদা কেমন তা জানতে চাইলে বলেন, ‘আগের চেয়ে বেড়েছে অনেক, কিছুদিন আগে আমাদের দৈনিক এসি বিক্রি হত ৭০ থেকে ৮০টি। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ১৫০টি।’

এসি বাজারেই কথা হল দুই জন ক্রেতার সঙ্গে। মালিবাগের বাসিন্দা মুহাম্মদ হারুন-উর রশিদ পেশায় ব্যবসায়ী। ঘুরে ফিরে বিভিন্ন এসি দেখছিলেন তিনি। দরদামে বনলে একটা কিনে ফেলবেন এমনই ইচ্ছা তার। বললেন, ‘এই গরমে বেশ অস্বস্তি বোধ করছি, তাছাড়া আমার পরিবাবের সদস্যরাও চাইছে একটি এসি কিনতে, তাই এখানে এলাম।’

দাম কি খুব বেশি মনে হচ্ছে আপনার? তিনি উত্তর দেন, ‘দাম খুব বেশি না, এখানে বিভিন্ন দামের এ সি আছে। তবে আমি কিনলে অবশ্যই মুটামুটি দামের ভেতরে কিনব।’

অন্যজন সরকারি কর্মচারী খালিদ হাসান মামুন, যিনি এসেছিলেন মতিঝিল থেকে। তিনি বলেন, ‘আমার বাসায় এসি আগে থেকই ছিলো। সেটা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আসলে বাধ্য হয়ে নতুন একটা কিনতে হচ্ছে। আমি এলজি ব্রান্ডের এসি আগে থেকেই ব্যবহার করছি। তাই এবারও আমি এলজি ব্রান্ডের এসি কিনব বলে ঠিক করেছি।’

বিক্রেতারা জানালেন ব্রান্ড-নন ব্রান্ড দুই রকমের এসি-ই বেশ ভাল বিক্রি হচ্ছে এ মার্কেটে। তবে বিদেশি ব্র্যান্ডের দিকেই ক্রেতাদের ঝোক একটু বেশি।

যমুনার এক্সক্লুসিভ শো রুমের ব্যবস্থাপক বাবুল হোসেন জানান, ‘গরম বেশি বেড়ে যাওয়ায় আমাদের নিজস্ব ব্র্যান্ডের এসির বেচাকেনা বেড়েছে। তবে মানুষ বিদেশি ব্রান্ডের এসির দোকানের দিকেই ঝুকঁছে বেশি।’

ঢাকাটাইমস/২৫মে/পিএ/কেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

ট্রেনে ঈদযাত্রা: ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি শুরু

ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে 

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :