অবহেলিত মায়েদের পাশে ‘ছায়ানীড়’

ইফতেখার রায়হান, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ মে ২০১৭, ১২:২২

সংসারের ঘানি টেনে বৃদ্ধ হওয়ার পর সহায় সম্বলহীন নারীর জীবন অনেক ক্ষেত্রেই কঠিন হয়ে পড়ে। এমন দুর্ভোগে পড়া নারীদের জন্য রাজধানীর উত্তরখানে গড়ে তোলা হয়েছে বৃদ্ধা আশ্রয় কেন্দ্র ‘আপন নিবাস’। বৃদ্ধাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘ছায়ানীড়’।

বৃদ্ধাশ্রমের ২৫ জন বৃদ্ধার জন্য রমজান মাসের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবার দ্রব্য ও ওষধ কিনে দিয়েছেন ছায়ানীড়ের সদস্যরা। বুধবার বিকালে ছায়ানীড়ের কয়েকজন সদস্য মিলে আপন নিবাসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দা সেলিনা শেলীর কাছে এসব জিনিসপত্র তুলে দেন।

২০১০ সালে মানবাধিকার কর্মী শেলী পরিবার অবহেলিত এসব বৃদ্ধাদের আশ্রয়ের জন্য গড়ে তোলেন বৃদ্ধাশ্রম ‘আপন নিবাস’। বর্তমানে বৃদ্ধাশ্রমটিতে ২৫ জন বৃদ্ধা রয়েছেন। তাদের দেখাশোনার জন্য রয়েছে পাঁচজন সেচ্ছাসেবী। প্রতিনিয়ত বৃদ্ধাদের গোসল করান, খাবার ও ওষুধ সেবন করান এই সেচ্ছাসেবীরা।

দেশের বিভিন্ন জেলার বাস স্টেশন, রেল স্টেশনে পড়ে থাকা অবহেলিত বৃদ্ধাদের তুলে এনে আপন নিবাসে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আবার অনেকেই তাদের বৃদ্ধ মায়ের সেবা করতে না পেরে রেখে যান এই বৃদ্ধাশ্রমে।

ছায়ানীড়ের অন্যতম সদস্য ইমরান হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নিপীড়িত, অবহেলিত, অসহায় মায়েদের কষ্টগুলো মুছে দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটাতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।’

ছায়ানীড়ের আরেক সদস্য গিয়াস কামাল বাবু জানান, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পনের জন সদস্য নিয়ে সংগঠনটির কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে এই সংগঠনটিতে প্রায় ৫০ জন সদস্য রয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী। তিনি বলেন, ‘চাকরি থেকে উপার্জিত টাকার একটি অংশ দিয়ে আমরা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার চেষ্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় ছায়ানীড়ের সদস্যরা সবাই মিলে রমজান মাসে বৃদ্ধাদের খাবার ও ওষুধ কিনে দিতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি।’

আপন নিবাসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সৈয়দা সেলিনা শেলী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আপনাদের মানবতার ক্ষুদ্র দান, সহযোগিতা আর ভালবাসা একজন অবহেলিত, অসহায় মায়েদের কষ্ট মুছে শান্তির ঠিকানায় ফুটাবে আশীর্বাদের হাসি। দেশের যে কোন জায়গার অসহায়, দুঃস্থ নারীদের সংবাদ দিন, আমরাই নিয়ে আসবো তাদের।’

শেলী বলেন, ‘আমরা এখন শুধু বৃদ্ধাদের নিয়েই কাজ করছি। আগামীতে বাসস্ট্যান্ড ও রেল স্টেশন এলাকার তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সী ভাসমান শিশু কন্যাদের তুলে এনে আপন নিবাসে থাকা-খাওয়া ও পড়াশুনার ব্যবস্থা করব। কারণ আজকে যেসব শিশু কন্যা ভাসমান অবস্থায় রয়েছে কিছুদিন পরই এরা হয়তো নির্যাতিত ও ধর্ষিত হবে। তাই এখন থেকেই এদের আপন নিবাসে এনে সঠিক পরিচর্যা দিয়ে গড়ে তুলব।’

ঢাকাটাইমস/২৫মে/আইআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :